বয়স ৩৭ ছুঁইছুঁই। জাতীয় দলেও সুযোগ হারিয়েছেন অনেক আগেই।
ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট 'ক্রিকবাজ' জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মাইনর ক্রিকেট টি-টোয়েন্টির দল শিকাগো কিংসম্যানে যোগ দিচ্ছেন ফাওয়াদ। তবে বিদেশি খেলোয়াড় কোটায় নয়, দেশি খেলোয়াড় হিসেবে। মার্কিন মুলুকের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি)-এর পরেই অবস্থান মাইনর লিগ ক্রিকেটের।
তবে ফাওয়াদ আলম একাই নন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটে ক্যারিয়ার গড়তে পাকিস্তান ছেড়েছেন সামি আসলাম, হাম্মাদ আজম, সাইফ বদর এবং মোহাম্মদ মহসিনের মতো ক্রিকেটাররাও।
পাকিস্তানের জার্সিতে ফাওয়াদের ক্যারিয়ার প্রায় ১৫ বছরের। ২০০৭ সালে সাদা বলের ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। এরপর ২০০৯ সালে টেস্ট অভিষেকেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নজর কাড়েন তিনি। কিন্তু কিছুদিন পরেই দলে অনিয়মিত হয়ে পড়েন ফাওয়াদ। অথচ ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রায় ৫৫ গড়ে রান করে গেছেন তিনি।
এরপর প্রায় ১১ বছর পর ফের জাতীয় দলে ফেরেন ফাওয়াদ। ২০২০ সালে দলে ফিরেই যেন নতুন রূপে দেখা দেন তিনি। ফেরার পর নিজের তৃতীয় ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরির দেখা পান। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও তিন অঙ্কের দেখা পান তিনি।
ফাওয়াদের ফের দল থেকে বাদ পড়ার কারণ ফর্মহীনতা। ২০২২ সালের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হন তিনি। ৪ ইনিংসে মাত্র ৩৩ রান করেন। এই ব্যর্থতার পর ২০২২ সালের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ডাক পাননি তিনি। আদতে তার ক্যারিয়ার সেখানেই শেষ হয়ে যায়।
ফাওয়াদ নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে এত সাফল্য সত্ত্বেও নির্বাচকরা তাকে বিবেচনায় নেননি। এরপর দীর্ঘ বিরতির পর সুযোগ পেলেও খুব বেশিদিন সুসময় উপভোগ করতে পারেননি তিনি। এর আগে ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী পাকিস্তান দলের স্কোয়াডে থাকলেও নিষ্প্রভ ছিলেন।
সবমিলিয়ে পাকিস্তানের জার্সিতে ১৯টি টেস্ট, ৩৮টি ওয়ানডে এবং ২৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ফাওয়াদ। টেস্টে তার সেঞ্চুরি আছে ৫টি এবং ওয়ানডেতে ১টি (২০১৪ এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে)। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়। কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে প্রতি মৌসুমেই রানের ফোয়ারা ছুটেছে তার ব্যাটে। ১৯ বছরে ২০১টি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচে রানসংখ্যা ১৪ হাজার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২৩
এমএইচএম