প্রথমবারের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে গিয়েই সবার নজর কেড়েছেন তাওহীদ হৃদয়। লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে জাফনা কিংসের হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন তিনি।
৮ আগস্ট পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টের জন্য অনাপত্তিপত্র নিয়েছিলেন হৃদয়। জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিতে বুধবার দুপুরে দেশে ফিরেছেন তিনি। লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) এই তরুণ ব্যাটার মুখোমুখি হয়েছিলেন জাতীয় দলের সতীর্থ সাকিব আল হাসানের। তাকে ছক্কাসহ বেশ কয়েকটি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন। ওই অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন হৃদয়।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি যখন ব্যাটিং করছিলাম, পাওয়ার প্লেতে; পরিস্থিতি ডিমান্ড করছিল রানের দরকার। আমিও চেষ্টা করেছি যে বল টু বল কীভাবে রান করা যায়। সাকিব ভাই আছে বা আরও বড় কেউ আছে এরকম কখনোই আমার মাথায় কাজ করে না। আমি সবসময় নিজের স্ট্রেন্থে থাকার চেষ্টা করি। সবসময় চাই আমি যে জায়গায় কমফোর্ট, ওখানে থাকার জন্য। ’
‘সাকিব ভাই তো অনেক অভিজ্ঞ বোলার। আর সেদিন উইকেটে বল একটু টার্ন করছিল। একটা জিনিস আমি দেখেছি, টি-টোয়েন্টিতে স্লো বা এত আস্তে বল উনি করে না স্বভাবত। ওইদিন উনি অনেক আস্তে বল করছিলেন। তখন বুঝতে পারছিলাম উনি কতটা অভিজ্ঞ। আস্তে বল ওই উইকেটে মারা যাচ্ছিল না। আমি যে বলটা মেরেছি, ওটা অনেক দূরে পড়েছে। ওই বল যদি আমি না পারতাম বা ডিফেন্স করতে যেতাম, আউট হওয়ার সুযোগ বেশি ছিল। এজন্য চেষ্টা করেছি ডু অর ডাই। ’
সাকিবের সঙ্গে আলাদা করে কোনো কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে হৃদয় বলেন. ‘ম্যাচ ভালো ছিল সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে। ওরকম কিছু বলেনি। সাকিব ভাই ম্যাচশেষে বলেছেন ভালো ব্যাটিং হয়েছে, এই। এর থেকে বেশি কোনো কথা হয়নি খেলা নিয়ে। ’
হৃদয়ের জাফনা কিংসের হয়েই খেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ব্যাটার ডেভিড মিলার। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জন্য যাকে অনেকে বলেন ‘কিলার মিলার’। তার সঙ্গে ব্যাটিংও করেছেন হৃদয়। শুরুতে কিছুটা সংকোচ কাজ করলেও পরে মিলারের কাছ থেকে শিখেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
হৃদয় বলেন, ‘মিলার আমাকে বারবার এপ্রিশিয়েট করছিল ওই সময়। বিশেষ করে সাকিব ভাইকে যে ছক্কাটা মেরেছি। শুধু মিলার না, পুরো দল আমাকে বারবার বলতেছিল এটা কী শট! ওরাও জানতে চাচ্ছিল। মিলার বলতেছিল এটা শট অব দ্য ডে। ম্যাচ শেষে মিলার আমার সঙ্গে অনেক্ষণ কথাও বলেছে ব্যাটিং নিয়ে। আমার কাছে শুনেছে কীভাবে কী করি। ’
‘অবশ্যই ভালো লেগেছে (ব্যাটিং করে)। ও কিংবদন্তি ক্রিকেটার। আমিও যখন ছিলাম, মিলার যখন আসছে, আমি নিজে থেকেও চাচ্ছিলাম মিলারের সঙ্গে একটু কথা বলি। সাহস পাচ্ছিলাম না। পরে যখন দেখি ও আমার সঙ্গে কথা বলেছে। তারপর চেষ্টা করেছি ওর সঙ্গে সময় কথা বলার ওর কাছ থেকে নেওয়ার। ’
লঙ্কান সমর্থকদের নিয়ে অভিজ্ঞতা জানিয়ে হৃদয় বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ ভালো (সাড়া) পেয়েছি। যখন বাউন্ডারিতে ফিল্ডিংয়ে যাই বা সাইডে যাই..ওরা আমাকে চিনেছে এটাই আমার পাওয়া। সবসময় ডাকে হৃদয় হৃদয় বলে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০২৩
এমএইচবি/এমএইচএম