সাকিব আল হাসানের কাঁধেই ওয়ানডে অধিনায়কত্বের ভার তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তার অধীনেই এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ খেলা এখন নিশ্চিত।
বয়স সাকিবের এখন ৩৬। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ও অন্যান্য ব্যস্ততার কারণে প্রায়ই জাতীয় দলের ম্যাচে থাকেন না তিনি। এখন তাকেই দেওয়া হয়েছে তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব। কতদিনের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হলো তাকে? এ নিয়ে সাকিব দেশে এলে বিস্তারিত কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন।
শুক্রবার নিজের বাসায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আসলে ওরকম আলোচনা হয়নি। ও দেশে আসলে তারপর বলতে পারবো। আমাদের ওর পরিকল্পনাটাও জানতে হবে। কারণ একসঙ্গে তিনটা ওর ওপর বার্ডেন পড়বে। যে পরিমাণ খেলা আমাদের। কাজেই ওর সঙ্গে কথাটা বলে নিতে হবে। ওর সঙ্গে কথা না বলে আপনাদের বলাটা এখন কঠিন। ’
‘একে তো দেশের বাইরে (সাকিব), তারপর একটা দলের হয়ে খেলছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট। ওখানে ওরও কিছু কমিটমেন্ট আছে, ব্যস্ততা আছে। সেজন্য ওকে বেশি বিরক্ত করতে চাইনি। আজকেও আবার ওর খেলা। যেটা বলছিলাম, তবে মোটামুটিভাবে যেটা আমরা ঠিক করেছি এখন আমরা আমাদের বিশ্বকাপের অধিনায়ক, এশিয়া কাপের অধিনায়ক, নিউজিল্যান্ড সিরিজের অধিনায়ক এখন যে সময়টা আছে অবশ্যই সাকিব আল হাসান। ওর সঙ্গে কথা বলে আমরা ঠিক করবো লং টার্ম নাকি তিনটা থাকবে নাকি দুটা থাকবে নাকি একটা। এগুলো আসলে কথা বলবো। ’
কয়েকদিন ধরে গুঞ্জন ছড়িয়েছে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে পারেন সাকিব। এজন্য অধিনায়কত্ব নেবেন না, এমন আলোচনাও ছিল। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয় পাপনের কাছে, তিনি নিজেও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য।
এ নিয়ে পাপন বলেন, ‘আমি জানি না এখন অবধি। এটা গতবারও শুনেছিলাম। এটা পুরোপুরি দুই পক্ষের ব্যাপার। প্রথম হচ্ছে দল কী সিদ্ধান্ত নেবে। আমার জানা মতে এখন আমরা যারা এমপি আছে, আমরাও নিশ্চিত না পাবো কি না। সাকিবেরটা বলবো কিভাবে!’
অধিনায়কত্বের আলোচনায় আরও দুজন ক্রিকেটার ছিলেন। সাকিবের সঙ্গে নাম ছিল মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন দাসের। এটি বলছেন পাপন নিজেই। তবে তিনি জানিয়েছেন, সাকিবই ছিলেন অটোচয়েস। কারণও পরিষ্কার, এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিয়েছে বোর্ড।
তিনি বলেন, ‘এখানে বিশ্বকাপ সামনে। এশিয়া কাপ তারপরে বিশ্বকাপ এত কম সময়ের মধ্যে আমার কাছে মনে হয়েছে সবচেয়ে সহজ এবং অভিয়াস চয়েজটাই হচ্ছে সাকিব আল হাসান। আরেকটা অটো চয়েজ আছে ও না খেললে সাকিব আল হাসান না খেললে সহ-অধিনায়ক যে আছে, সে হবে; লিটন দাস। ’
‘আরও নাম এসেছে। যেমন মেহেদী হাসান মিরাজ, লম্বা সময় যদি আমরা চিন্তা করি ভবিষ্যতে কী হবে। কারণ এখন তো ধরেন মুশফিক করছে না, তামিমও ছেড়ে দিলো, সাকিবও যদি কখনো ছেড়ে দেয় তখন কী হবে। ওরকম লম্বা সময় যখন চিন্তা করবো তখন আরও নাম আসবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২৩
এমএইচবি/আরইউ