সর্বশেষ ওয়ানডেতে মাঠে নেমেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সেটাও গত মার্চে, এরপর আর জাতীয় দলে জায়গা হয়নি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।
শনিবার সকালে এশিয়া কাপের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। এরপর দল ঘোষণা নিয়ে নিজের ব্যাখ্যা জানিয়েছেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে না রাখা নিয়ে লম্বা আলোচনা হয়েছে বলে জানান নান্নু। সিদ্ধান্ত এসেছে কোচ-অধিনায়কের সঙ্গে আলোচনা করে, এমনটিও জানান তিনি।
প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে অনেক লম্বা আলোচনা হয়েছে প্রথম দিকে। তারপর অনেক আলোচনা করার পর টিম ম্যানেজম্যান্ট আমাদেরকে একটা পরিকল্পনা দেয়, সামনে কীভাবে কোন দেশের সঙ্গে খেলবে, কী পরিকল্পনা। ওই চিন্তাভাবনা করেই কিন্তু রিয়াদকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনাকে আমরা মনে করেছি অবশ্যই এটা ভালো। ওদের সঙ্গে যেহেতু হেড কোচের একটা পরিকল্পনা আছে টিম কীভাবে পরিচালনা করা হবে। সব আলোচনা হয়েছে, আমাদের অধিনায়কের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ’
বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়া মাহমুদউল্লাহর বিশ্বকাপে সুযোগ আছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখন বিশ্বকাপের দল না। এশিয়া কাপের দল। বিশ্বকাপের দল দেই তারপর আপনাদেরকে জানানো হবে। ’
‘এখন এশিয়া কাপ নিয়ে আলোচনা করছি। এশিয়া কাপে টিম ম্যানেজমেন্ট আমাদেরকে একটা পরিকল্পনা দিয়েছে, অতিরিক্ত স্পিনার বা পেসার নিয়ে খেলা এ ধরনের ব্যাপার নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়। ’
একাদশের সাত নম্বর নিয়ে আলোচনা অনেক। বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে এই জায়গায় চেষ্টা করা হয়েছে। সর্বশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে ছিলেন আফিফ হোসেন। তিনিও খুব একটা ভালো করতে পারেননি। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল নান্নুর কাছে।
জবাবে তিনি বলেন, ‘এই ম্যানেজমেন্টের অধীনে মিরাজকেই সাতে বিবেচনা করা হচ্ছিল কয়েকটা সিরিজে। মিরাজের ওপর আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। আট নম্বরে অতিরিক্ত পেসার বা স্পিনার যখন যেটা যে কন্ডিশনে দরকার হবে, ওভাবেই কিন্তু এগোয়। টিম ম্যানেজমেন্টের অনেক পরিকল্পনা আছে, যেগুলো এখানে শেয়ার করতে পারি না। ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা নিয়ে সমন্বিত সিদ্ধান্ত নিয়েই দলটা তৈরি করা হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময় : ১০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস