সময় স্রেফ ১৫ মিনিট। সাংবাদিকদের জন্য বরাদ্দ কেবল এটুকুই।
শুরুতে বড় এক বোর্ডে শিষ্যদের কৌশল বোঝান হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। গোল হয়ে ঘিরে থেকে মনোযোগ দিয়েই সেসব বোঝার চেষ্টা করছিলেন ক্রিকেটাররা। হাথুরুর কথা বলা শেষ হতেই ‘নেতার’ ভূমিকায় হাজির হন মুশফিকুর রহিম। অনুশীলন ক্যাম্পে থাকা সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তিনি। কিপিং গ্লাভস হাতে থাকা মুশফিক সতীর্থদের বোঝালেন বেশ খানিকটা সময়।
এরপর ক্রিকেটাররা মনোযোগী হন ফিল্ডিংয়ে। তাওহীদ হৃদয়, আফিফ হোসেনরা যখন বাউন্ডারি লাইনের ফিল্ডিং অনুশীলন করেন, তখন স্লিপ ক্যাচিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, সাইফ হাসানরা। ফিল্ডিংটা ছিল অবশ্য সময় কাটানো বা গা গরম করার জন্য। সাংবাদিকদের উপস্থিতিতেই শুরু হয় ‘ম্যাচ সিনারিও’ প্রস্তুতি।
দুই উদ্বোধনী ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম ও নাঈম শেখ ব্যাটিংয়ে নামেন। তখনও ক্রিজে ছিলেন হাথুরুসিংহে। শিষ্যকে বোঝাতে গিয়ে নিজেই ব্যাট হাতে নেন তিনি। পাশের উইকেটেই তখন বল করছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। হাথুরু আসেন সেখানে, দেন পরামর্শ।
পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের সঙ্গেও কিছুক্ষণ কথা বলেন হাথুরু। আলাপ শেষে ডোনাল্ড যান বোলিং প্রান্তে, এদিন ভারত থেকে আসা রিস্ট স্পিনার জিয়াস কারাপাককে লেগ আম্পায়ার বানিয়ে নিজেই মূল আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন এই প্রোটিয়া কোচ। তাতে তাসকিন আহমেদ- হাসান মাহমুদদের বোলিংটাও দেখা যাবে কাছ থেকেই।
সেটিতে কী ভুল হচ্ছে, কোনটা আরেকটু ভালো করা যায় এই পরামর্শ দেওয়ার কাজটাও সহজ হয় ডোনাল্ডের জন্য। তিনি আম্পায়ারিং পজিশনে গেলেও হাথুরুসিংহে চলে আসেন মাঠের বাইরে। ফেরার সময় প্লাস্টিকের স্টাম্প, পানির বোতল কুড়িয়ে নিয়ে আসেন তিনি। তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে মাতেন খুঁনসুঁটিতেও।
৩০ আগস্ট থেকে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে হবে এশিয়া কাপ। এ টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে গত চারদিন ধরে ‘ক্লোজ ডোর’ অনুশীলন করছেন ক্রিকেটাররা। লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগের ব্যস্ততায় ক্যাম্পে নেই অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, লিটন দাস ও শরিফুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার অনুশীলনের পর টিম ম্যানেজম্যান্টের পক্ষ থেকে একজন সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২৩
এমএইচবি/আরইউ