এশিয়া কাপের ফাইনাল হবে ১৭ সেপ্টেম্বর। এদিনই বাংলাদেশে আসবে নিউজিল্যান্ড।
প্রায় দুই মাস থাকতে হবে বিশ্বকাপের ব্যস্ততায়। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মাঝের অল্প সময়ের ভেতরই ক্রিকেটারদের নামতে হবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। তাদের জন্য যেটি হতে পারে ক্লান্তির কারণ। কেন এমন সময়ে কিউইদের বিপক্ষে সিরিজ? বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলছেন, প্রতিশ্রুতি রাখতেই।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু উপমহাদেশে বিশ্বকাপ হচ্ছে এবং আগের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে হয়েছিল। তখন আমাদের সঙ্গে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে তাদের সঙ্গে একটা বোঝাপড়া ছিল। আপনারা জানেন যে ওই বিশ্বকাপের আগে ওদের ওখানে ট্রাই নেশন খেলেছিলাম পাকিস্তানসহ। সেটারই একটা ধারাবাহিকতা হিসেবে তিনটা ওয়ানডে খেলার সুযোগ করে দিচ্ছি আর কী। এটা একটা প্রতিশ্রুতির মতো ছিল। ’
কয়েকদিন ধরেই এশিয়া কাপ সামনে রেখে অনুশীলন করছেন ক্রিকেটাররা। গত চারদিন ধরে সেটি হচ্ছে ‘ক্লোজ ডোরে’। ম্যাচ সিনারিওতে অনুশীলন করানো হচ্ছে ক্রিকেটারদের। কোনো প্রস্তুতি ম্যাচও কি হবে? সিইও বলছেন, সেই সুযোগ আপাতত নেই।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যে পরিকল্পনা সেখানে এশিয়া কাপের আগে কোন প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ নেই। খুব কমপ্যাক্ট অনুশীলন সময়। এশিয়া কাপের জন্য ২৭ তারিখ বাংলাদেশ দল কলম্বো যাবে। এরপর নিউজিল্যান্ড আসবে দেশে খেলতে। এরপর বিশ্বকাপের আগে দুটো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা আছে। তো খুবই ব্যস্ত সূচি এজন্য আমাদের বাড়তি কোন প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কোন পরিকল্পনা নেই। ’
গত এক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশে কাজ করে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়া মনোবিদ ফিল জন্সি। এর আগে অনেকটা একই ধরনের কাজের জন্য এসেছিলেন অ্যালান ব্রাউন। বিশ্বকাপেও কি দলের সঙ্গে দেখা যেতে পারে এমন মনোবিদ?
বিসিবি সিইও বলেন, ‘জাতীয় দল শুধু না, আমাদের অন্যান্য দল যেগুলো আইসিসি ও এসিসি টুর্নামেন্টে যায়। ওদের সঙ্গেও তার কাজ করার কথা আছে। এখানে শুধু ছেলেদের দলই না, উনি রেগুলার বেসিসেই আসবেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৩
এমএইচবি/আরইউ