তামিম ইকবাল ব্যাটিং করবেন, এমন খবরে মিরপুরে সংবাদকর্মীদের ভিড়। কিন্তু শনিবার মিরপুরে ‘ক্লোজড ডোরের’ চেয়ে কড়াকড়ি।
পিঠের চোটে এশিয়া কাপে খেলা হচ্ছে না তামিমের, নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। ওয়ানডে অধিনায়কত্বও ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। তখন জানিয়েছিলেন, ফিরতে চান বিশ্বকাপের ঠিক আগে নিউজিল্যান্ড সিরিজে। এর আগে মিরপুরে নিয়মিতই নিজের পুর্নবাসনের কাজগুলো করছেন তামিম।
সেপ্টেম্বরের শেষদিকে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ওয়ানডের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এর পরপরই ভারতে উড়ে যেতে হবে বিশ্বকাপ খেলতে। তামিমের অবস্থা এখন কেমন? সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আশার কথাই শোনালেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। বিশ্বকাপে তামিমকে ভীষণ প্রয়োজন, মনে করিয়ে দিয়েছেন সেটিও।
তিনি বলেন, ‘তামিম কঠোর পরিশ্রম করছে। অনেক চেষ্টা করছে ফিরে আসার জন্য। আমার মনে হয় সময়ের আগেই ফিরে আসবে। নিউজিল্যান্ড সিরিজেই তাকে ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী। কারণ বিশ্বকাপের জন্য তামিমকে আমাদের ভীষণ দরকার। তামিমের অভিজ্ঞতাটা, তামিমের পারফরম্যান্সটা আমাদের ভালো করার জন্য অনেক দরকার। তামিম যেভাবে পরিশ্রম করছে, নিজেকে সময় দিচ্ছেন, আমার মনে হয় তিনি সময়ের আগেই ফিরে আসতে পারবেন। ’
শনিবার তামিম ব্যাটিং করেছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সুমন বলেন, ‘আমার সঙ্গে আজকে দেখা হয়নি। আমি পরে যাবো। শুরু করুক। আমাদের হাতে সময় আছে। বিশ্বকাপ অক্টোবরে। তার আগে অনেক সময় পাচ্ছে। আমি আশাবাদী, নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে ঠিক হয়ে যাবে। হয়তো কিছুটা সামান্য ইনজুরি থাকবে। সেটা তামিম জানে। সেই ব্যাপারে নিজেই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তবে সুস্থ তামিমকে আমাদের ভীষণ দরকার। তার পারফরম্যান্স খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে বিশ্বকাপে আমাদের ভালো করার জন্য। ’
এশিয় কাপে তামিমের না থাকায় চিন্তার জায়গা বেড়েছে ওপেনারদের নিয়ে। নাঈম শেখ এখন অবধি চার ওয়ানডে খেলেছেন, করেছেন স্রেফ ১০ রান। তানজিদ হাসান তামিমের এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকই হয়নি। ওপেনার হিসেবে এশিয়া কাপে একাদশে থাকার কথা লিটন দাসের, কিন্তু তিনিও খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই।
কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ খেলে এসে লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে খেলতে গিয়েছেন লিটন। কোনোটিতেই বলার মতো কিছু করতে পারেননি। তবুও উদ্বোধনী ব্যাটিং নিয়ে চিন্তিত নন নির্বাচক হাবিবুল বাশার। তিনি বলছেন, ভয়ডরহীন ক্রিকেটের জন্য ক্রিকেটারদের পাশে করার কথা।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না চিন্তিত হওয়ার কিছু আছে। আমাদের লক্ষ্য একদম পরিষ্কার। আমরা যে ক্রিকেটটা খেলার চেষ্টা করছি। যদি দেখেন, আমাদের খেলার ধরনটা কিন্তু বদলেছে। আমরা যে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার কথাটা বলছিলাম, সেটা কিন্তু আমরা গত ২-৩ সিরিজ ধরে খেলছি। আমাদের পারফরম্যান্সে দেখতে পারবেন। ’
‘ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে গেলে কিন্তু ক্রিকেটারদের পাশে থাকতেই হবে। কারণ এই ধরনের ক্রিকেটের যে মূলমন্ত্র যে, আপনি আপনার ইতিবাচক ক্রিকেটটা খেলবেন। এতে করে যদি ১-২ ম্যাচ রান নাও করেন, আপনাকে আপনার দল ব্যাক করবে। সেই আত্মবিশ্বাস দেওয়াটা কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। ’
লিটনকে নিয়ে বাশার আরও বলেন, ‘লিটন দাস ক্লাস ক্রিকেটার। বড় মাপের ক্রিকেটার। আমি চাইবো যে, এই অফ ফর্মটা, আমি নিশ্চিত ও সময়মতো কাটিয়ে উঠবে। অনেক সময় হয় না, অনেক ভালো ফর্মে থাকতে থাকতে... ক্রিকেটারদের তো খারাপ সময় আসে। আমি মনে করি ওর এখন খারাপ সময় চলছে। সামনে ঠিক হয়ে যাবে। আর যারা আছে, নাঈম শেখ পুরোনো ক্রিকেটার। আগেও খেলেছেন। হয়তো ফিরে এসেছেন অনেক দিন পরে। যখন একজন ক্রিকেটার অনেক দিন পর ফিরে আসে, তাকে একটু সময় দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের স্কিল নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সবাই স্কিলফুল প্লেয়ার। বড় মঞ্চে তাদের ভালো খেলার সম্ভাবনা বেশি, আমি বিশ্বাস করি। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৩৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস