প্রায় মাসখানেক অনেকটা নিয়মিত দৃশ্যই ছিল। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অনুশীলন করতেন, তার দিকে ক্যামেরার চোখও থাকতো বেশির ভাগ সময়।
এই ক্রিকেটারের অধ্যায় সেখানেই শেষ হবে বলে ধারণা ছিল অনেকের। কিন্তু এর মধ্যেই নতুন গুঞ্জন, এশিয়া কাপের স্কোয়াডের বাইরে ৮ ক্রিকেটারকে নিয়ে বিশেষ ক্যাম্প আয়োজন করবে বিসিবি, যেখানে থাকবেন মাহমুদউল্লাহ। ক্যাম্পের বিষয়টি জানিয়েছেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনও।
শনিবার মিরপুরে তিনি বলেন, ‘দেখুন আমাদের একটা দল তো যাচ্ছেই। আমাদের বিশ্বকাপের এখনও দুই মাস সময় আছে। এই সময়ে অনেকের ইনজুরির কনসার্ন হতে পারে। সব কিছু মাথায় রেখেই আমাদের পুলটা... ৩০-৩২ জনের একটা পুল তো আছেই, সবাই যেন অনুশীলনে থাকে, যখন যাকে দরকার হয়, যদি কেউ দুর্ভাগ্যবশত ইনজুরিতে পড়ে, যেটা খেলারই অংশ। ’
‘তাহলে যেন সবাইকে সুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়। যেহেতু আমাদের এখন কোনো ঘরোয়া ক্রিকেট নেই, কেউ ক্রিকেট খেলছেন না। এই সময় সবাইকে অনুশীলনে রাখাটা গুরুত্বপুর্ণ। সেটাই আসলে চেষ্টা করা হচ্ছে। যেহেতু সময় আছে, ২-১ দিনের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে। ’
ওই ক্যাম্পে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ থাকবেন কি না জানতে চাইলে হাবিবুল বাশার বলেন, ‘কে কে থাকবে, কোন ৮ জন থাকবে তা এখনও আমরা ঠিক করিনি। তবে ৩২ জনের পুল আমরা আগেই করেছিলাম। মোস্ট লাইকলি তাদের বাইরে থেকে কেউ থাকবেন নাকি সেখান থেকেই থাকবে সেটা হয়তো ঠিক করা হবে। ’
এদিকে অভিজ্ঞতার কারণে তামিম ইকবালকে বিশ্বকাপে ‘ভীষণ’ দরকার বলে মনে করেন হাবিবুল বাশার। তাহলে রিয়াদের ক্ষেত্রে সেটি কেন নয়? এমন প্রশ্নে এই নির্বাচক বলেন, ‘এই প্রশ্নটা এর আগেও ক্লিয়ার করা হয়েছে। এখন এশিয়া কাপের দল নিয়ে ভাবাই ভালো। ’
এশিয়া কাপে প্রতিবারই তীরে এসে তরি ডোবে বাংলাদেশ। এখন অবধি তিনবার ফাইনাল খেলেও শিরোপা জেতা সম্ভব হয়নি। ওয়ানডে সংস্করণে হওয়া সবশেষ এশিয়া কাপের ফাইনালে হারতে হয় ভারতের কাছে। ঘরের মাঠে ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি ও ২০১২ সালের ওয়ানডে সংস্করণের টুর্নামেন্টেও হারতে হয় যথাক্রমে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। তবে এবার ভালো কিছুর আশাই করছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার।
তিনি বলেন, ‘এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন হয়। এখানে সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে। বাকি যে দলগুলো আছে, সবাই কিন্তু সময়ের সঙ্গে অনেক এগিয়েছে। গত ৪-৫ বছরের চেয়ে আফগানিস্তান অনেক এগিয়েছে, শ্রীলঙ্কাও গুছিয়ে নিয়েছে। ভারত, পাকিস্তান অনেক শক্তিশালী। বাকি দলগুলা কিন্তু খুব ভালো। আমাদের সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে, যদি ভালো করতে হয়। গত ১ বছরের পারফরম্যান্স যদি দেখেন, তাহলে তো আমরা আশাবাদী হতেই পারি। ’
‘তবে সেই পারফরম্যান্সের রিপিট করাটা খুব জরুরি। কারণ বড় টুর্নামেন্টে সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে। আমার মনে হয়, দল হিসেবে আমরা প্রস্তুত আছি। দল হিসেবে আমরা ভালো করছি। গত ১ বছর ধরে আমরা আমাদের খেলার ধরন সম্পর্কে পরিষ্কার, কী ধরনের খেলা খেলতে চাই, সেটা এখন আমরা পরিষ্কার। যদি টুর্নামেন্টে আমরা রিপিট করতে পারি, তাহলে অবশ্যই এশিয়া কাপে ভালো করা সম্ভব। তবে এটি অবশ্যই অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এই ধরনের টুর্নামেন্ট সবসময়ই চ্যালেঞ্জ হয়। এশিয়া কাপে বাংলাদেশ আগেও ফাইনাল খেলেছে। তখন আমরা জিততে পারিনি। আশা করছি, যদি এরকম পরিস্থিতিতে যেতে পারি, এবার হয়তো মিস করব না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২৩
এমএইচবি/আরইউ