ওয়ানডেতে প্রতিপক্ষকে ২০০-এর আশেপাশে আটকে ফেলতে পারলে রান তাড়া করা তুলনামূলক সহজ হওয়ার কথা। কিন্তু আফগানিস্তানের কাছে এই লক্ষ্যও যেন পাহাড়সম প্রমাণিত হলো।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আজ আফগানিস্তানকে ১৪২ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটায় আগে ব্যাট করে ৪৭.১ ওভারে মাত্র ২০১ রান তুলতেই সব উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তানি দল। জবাবে ১৯.২ ওভারে ৫৯ রানে অলআউট হয় আফগানরা।
পাকিস্তানের ছুড়ে দেওয়া ৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় আফগানিস্তান। টানা দুই বলে উইকেট তুলে নেন পাকিস্তানি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে তার বলে আগা সালমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আফগান ওপেনার ইব্রাহীম জাদরান। ৬ বল মোকাবিলা করেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। পরের বলে একই ফিল্ডারের জাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনে নামা রহমত শাহ।
পরের ওভারে আঘাত হানেন আরেক পাকিস্তানি পেসার নাসিম শাহ। এই ডানহাতি পেসারের বলে ক্যাচ তুলে দেন আফগান অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শহীদি। ৩ বলের মোকাবিলায় হাশমতুল্লাহও রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হন। দলীয় ৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা আফগানিস্তান আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এরপর একে ড্রেসিংরুমে ফেরেন একের পর এক ব্যাটার।
তবে দীর্ঘ সময় একপ্রান্তে অনড় অবস্থানে ছিলেন আফগান ওপেনার ও উইকেটকিপার রহমনুল্লাহ গুরবাজ। দলকে ৩৫ রানে রেখে পঞ্চম উইকেট হিসেবে বিদায় নেওয়ার আগে তিনি ৪৭ বলের মোকাবিলায় ১৮ রান করতে পারেন।
গুরবাজ বিদায় নেওয়ার পর কার্যত ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় আফগানিস্তান। উইকেট পতনের মিছিলে একে একে যুক্ত হন আফগান ব্যাটাররা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই। ৩ বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিলেও তাকে মাঠ ছাড়তে হয় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে।
বল হাতে পাকিস্তানের হারিস রৌফ ৬.২ ওভারে মাত্র ১৮ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন। ২ উইকেট শাহিন আফ্রিদির। ১টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন নাসিম ও শাদাব খান।
এর আগে ইমাম-উল-হকের ফিফটি এবং ইফতিখার আহমেদ ও শাদাব খানের ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংসে ভর করে দুইশ ছাড়ায় পাকিস্তান। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে ব্যতিক্রম ইমাম। ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে ৯৪ বলে ৬১ রান করেন তিনি। ইফতিখার ৩০ ও শাদাবের ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান। বাকিদের মধ্যে বলার মতো রান পেয়েছেন কেবল মোহাম্মদ রিজওয়ান (২১)।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৩
এমএইচএম