শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ধসে পড়ে টপ অর্ডার। সেই চাপ সামাল দিয়ে ভারতকে বড় সংগ্রহের পথে নিতে থাকেন ইশান কিষাণ ও হার্দিক পান্ডিয়া।
পাল্লেকেলেতে এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। শাহিন ও নাসিম শাহের বিরুদ্ধে সতর্কতার সঙ্গে ব্যাট করতে থাকেন দুই ওপেনার রোহিত ও শুভমান গিল। যদিও পঞ্চম ওভারে আঘাত হানে বৃষ্টি। যে কারণে আধা ঘণ্টা বন্ধ থাকে খেলা। কিন্তু ফের খেলা চালু হলে দেখা যায় শাহিন ম্যাজিক। পঞ্চম ওভারেরই শেষ বলে দুর্দান্ত ইনসুইং ডেলিভারিতে বোল্ড করেন রোহিতকে। ২২ বলে ২ চারে ১১ রান করে ফেরেন ভারতীয় অধিনায়ক।
উইকেটে আসার পর নাসিমের ওভার বেশ ভালোমতোই সামলেন কোহলি। দৃষ্টিনন্দন কাভার ড্রাইভে একটি চারও মারেন তিনি। কিন্তু অভিজ্ঞ এই ব্যাটার শাহিনের সামনেই নড়ে গেলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে বিপদ ডেকে আনেন নিজের। বল ব্যাটে লাগার পর সোজা আঘাত হানে স্টাম্পে। তাই ৪ রানেই ফিরতে হয় তাকে।
শাহিনের জোড়া উইকেট নেওয়ার পর দশম ওভারে এসে বাজিমাত করেন রউফ। তার বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে ফখর জামানের হাতে ধরা পড়েন শ্রেয়াস। বিদায় নেন ৯ বলে ১৪ রান করে। থিতু হয়ে ধীরগতিতে ব্যাট চালাতে থাকা গিলকেও ফেরান রউফ। পঞ্চদশ ওভারে তার বল ডিফেন্ড করতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতে পারেননি গিল; সোজা চলে যায় স্টাম্পে। ৩২ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন ভারতীয় ব্যাটার।
এরপর পঞ্চম উইকেটে দলের হাল ধরেন ইশান ও পান্ডিয়া। দুজনের ব্যাটেই ছিল আগ্রাসীর ছোঁয়া। তার ওপর পাকিস্তানের ফিল্ডিং মিসে রান অনায়াসেই বের হতে থাকে। পঞ্চম উইকেটে ১৩৮ রান যোগ করে ভারতকে চাপমুক্ত করেন তারা। সেঞ্চুরির দৌড়ে থাকলেও দুজনকেই থামতে হয় আশির ঘরে। ইশানকে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে ব্রেক থ্রু এনে দেন রউফ। তার লাফিয়ে উঠা বলে বাবর আজমের হাতে ক্যাচ দেন ইশান। ৮১ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৮২ রানের ইনিংস খেলে থামেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ৯০ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৮৭ রান করা পান্ডিয়া শিকার হন শাহিন। এরপর ভারতের লেজ ভেঙে দেন নাসিম শাহ। জাসপ্রিত বুমরাহ (১৬) ব্যাট হাতে কিছুটা চমক দেখালেও ভারতকে খুব বেশি দূর নিয়ে যেতে পারেননি।
পাকিস্তানের হয়ে ৩৫ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন শাহিন। তিনটি করে শিকার রউফ ও নাসিমের।
বাংলাদেশ সময় : ২০১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩
এএইচএস