ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

আগস্ট মাসের সেরার লড়াইয়ে বাবর-শাদাব-পুরান

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩
আগস্ট মাসের সেরার লড়াইয়ে বাবর-শাদাব-পুরান

এশিয়া কাপে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচেই খেলেছেন দেড়শ রানের ইনিংস। এর আগে আফগানিস্তান সিরিজের শেষ দুই ম্যাচেই তার ব্যাট থেকে এসেছে ফিফটি।

গত মাসে দারুণ এই পারফরম্যান্সের কারণে অনুমিতভাবেই সেরা ক্রিকেটারের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম।

আজ আগস্ট মাসের শীর্ষ তিন ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ করে আইসিসি। যেখানে বাবরের পাশাপাশি জায়গা করে নিয়েছেন তারই সতীর্থ শাদাব খান। তালিকায় আরেকজন হলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটকিপার-ব্যাটার নিকোলাস পুরান।  

আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগস্টে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে অবশ্য ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেননি বাবর। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই তিনি খেলেন ৫৩ রানের ইনিংস। তৃতীয় ম্যাচেও এই ধারা অব্যাহত রাখেন। ৬০ রানের ইনিংসে দলকে এনে দেন ২৬৮ রানের সংগ্রহ। সিরিজটিতে ৩-০ ব্যবধানে জয়লাভ করে পাকিস্তান।  

এশিয়া কাপেও এই ফর্ম অব্যাহত রাখেন বাবর। নেপালের বিপক্ষে তিনি খেলেন ১৩১ বলে ১৫১ রানের ইনিংস। এই সেঞ্চুরিতে অনন্য এক মাইলফলকে পৌঁছান তিনি। সবচেয়ে কম ইনিংস খেলে দ্রুততম সময়ে ১৯ সেঞ্চুরির মালিক পাকিস্তানি এই ওপেনার। এছাড়া সবমিলিয়ে ৩১ সেঞ্চুরি হাকিয়ে চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে তিনি স্পর্শ করেন দেশের লিজেন্ডারি জাভেদ মিয়াদাদ ও সাইদ আনোয়ারকে। এই তালিকায় সবার ওপরে থাকা ইউনিস খানের সেঞ্চুরি ৪১টি। ৩৯ ও ৩৫ সেঞ্চুরি নিয়ে দুইয়ে ও তিনে রয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ ও ইনজামাম উল হক।

এদিকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন পাক অলরাউন্ডার শাদাব খান। প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে ৩৯ বলে ৫০ রানের ইনিংসের পাশাপাশি বল হাতে নেন আবদুল রহমানের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দল যখন বিপর্যয়ে তখন একাই লড়ে গেছেন। ৩৫ বলে তার ৪৮ রানের ইনিংসে ভর করেই ম্যাচটি জিতে পাকিস্তান। শেষ ম্যাচে বল হাতে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে রেকর্ড বোলিং ফিগার ২৭ রানে নেপালের ৪ উইকেট তুলে নেন পাক এই অলরাউন্ডার।  

মাসসেরার তালিকায় থাকা আরেক ক্রিকেটার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিধ্বংসী ব্যাটার নিকোলাস পুরান। ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ে যিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে পেয়েছেন সিরিজসেরার পুরস্কার। প্রথম ম্যাচে ৪ রানের নাটকীয় জয়ে ব্যাট হাতে পুরান খেলেছিলেন ৩৪ বলে ৪১ রানের ইনিংস। এই ফর্ম তিনি নিয়ে যান দ্বিতীয় ম্যাচেও। ৪০ বলে ৬৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে এনে দেন জয়। তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচে ভারত কামব্যাক করলেও শেষ ম্যাচে ব্যাট হাতে আবারও ঝড় তোলেন পুরান। ৩৫ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলে দলের সিরিজ জয়ে রাখেন বড় অবদান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩
আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।