ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘মা বলেছিলেন, আমি খেলব…’

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩
‘মা বলেছিলেন, আমি খেলব…’

লক্ষ্য খুব একটা বেশি ছিল না। তবুও অস্ট্রেলিয়ার জন্য পথটা বন্ধুর হয়ে গেল যখন ১১৩ রানেই হারিয়ে ফেলে সপ্তম উইকেট।

তবে অষ্টম উইকেটে অ্যাশটন অ্যাগারের সঙ্গে ১১২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে ৩ উইকেটের অবিশ্বাস্য জয় এনে দেন মার্নাস লাবুশেন। অথচ ম্যাচে অজিদের সেরা একাদশেই ছিলেন না তিনি।

কাগিসো রাবাদার ব্যাক অফ লেংথের ডেলিভারি হেলমেটে লাগলে আর ব্যাট করতে পারেননি চারে নামা ক্যামেরন গ্রিন। তাই তার কনকাশন সাব হিসেবে নামানো লাবুশেনকে। লাবুশেনও ভাবলেন মায়ের কথাটা সত্যি হয়ে গেল। এরপর কেবল দলকে নিয়েই ভেবে গেলেন তিনি। ৯৩ বলে ৮ চারে ৮০ রানের বীরোচিত ইনিংস খেলে হলেন ম্যাচ-সেরাও।
    
যদিও প্রথমে এই ওয়ানডে সিরিজের দলেই ছিলেন না লাবুশেন। ইনজুরির কারণে স্টিভেন স্মিথের পরিবর্তে দলে ঢোকেন তিনি। সেই স্মিথের কনকাশন সাব হয়েই টেস্ট ক্রিকেটে পুনর্জন্ম হয়েছিল তার। এবারও কনকাশন সাব খেললেন অসাধারণ এক ইনিংস। সেই ইনিংসের পুরোটাই মাঠে বসে দেখেছেন তার মা অ্যাল্টা লাবুশেন।

ম্যাচ শেষে মার্নাস লাবুশেন বলেন, 'তিনি অসাধারণ এক মহিলা। প্রথম সাড়ে তিন ঘণ্টা আমি না খেলা সত্ত্বেও পুরো ম্যাচেই মাঠে ছিলেন। তার মনে হয়েছিল, যেহেতু আমি এখানে এসেছি, তাই আমি এই ম্যাচটি খেলতে যাচ্ছি। তিনি সেই অনুভূতিতে অনড় ছিলেন। কিন্তু আমি তাকে বলেছিলাম, 'আমি দল দেখেছি মা, আমি দলে নেই। তার কেবল মনে হচ্ছিল আমি খেলব এবং আরও একবার তিনি সঠিক হলেন। সত্যি বলতে, এটা বর্ণনা করা কঠিন। '

ব্লমফন্টেইনে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস দক্ষিণ আফ্রিকাকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় অস্ট্রেলিয়া। অজি পেসারদের তোপে রীতিমত ধসে পড়ে প্রোটিয়াদের ব্যাটিং লাইন-আপ। অলআউট হয় ২২২ রানে। কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ঢাল হয়ে দাঁড়ান অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তার ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরিতে ভর করে লড়াকু সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা।  

যদিও বাভুমাকে আউট না হয়েই সাজঘরে ফিরতে হয়। ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে ১৪২ বলে ১৪ চার ও ১ ছক্কায় ১১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ওপেনার। বাভুমার ২৩ বছর আগে প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার হিসেবে ক্যারি দ্য ব্যাটের কীর্তি গড়েছিলেন হার্শেল গিবস। ২০০০ সালে সেই ম্যাচে পাকিস্তানের দেওয়া ১৬৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১০১ রানেই অলআউট হয় প্রোটিয়ারা।

বাভুমার পর প্রোটিয়াদের ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান এসেছে মার্কো ইয়ানসেনের ব্যাট থেকে। তাকে সঙ্গে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়েন বাভুমা। এই জুটি ভাঙলেও লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে চলতে থাকে বাভুমার লড়াই।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে জশ হ্যাজেলউড তিন, মার্কাস স্টইনিস দুই এবং শন অ্যাবট, অ্যাশটন অ্যাগার, অ্যাডাম জ্যাম্পা ও ক্যামেরন গ্রিন শিকার করেন একটি করে উইকেট।  

২২৩ রানের লক্ষ্যের জবাবে দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। যদিও রানরেট সর্বদাই ছিল ছয়ের ওপর। কিন্তু ধস থামাতে পারছিল না সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত অ্যাশটন অ্যাগারকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেন লাবুশেন। ১১২ রানের জুটিতে ৬৯ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন অ্যাগার। প্রোটিয়াদের হয়ে গেরাল্ড কোজি ও রাবাদা শিকার করেন দুটি করে উইকেট।


বাংলাদেশ সময়: ১১০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৩
এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।