ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তাওহীদ হৃদয়ের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকে করেছিলেন ৯২ রান, পরের ম্যাচে করেন ৪৯ রান।
হৃদয়ের দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রত্যাশাও বাড়ে। কিন্তু এশিয়া কাপে যেন সেটি ঠিকঠাক পূরণ করতে পারছিলেন না তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ৪১ বলে ২০ রান করে আউট হন, পরের ম্যাচে ফেরেন ডাক মেরে। এরপর সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষেও ৯ বলে ২ রান করে হারিস রউফের গতিতে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হন।
তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন হৃদয়। দলের বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে একাই লড়াই করেন তিনি। সেদিন ১০৪ বলে ৮২ রান করে শেষ পর্যন্ত দলের আশা হয়ে টিকে ছিলেন। যদিও জেতাতে পারেননি। তাওহীদ হৃদয় বলছেন, একদমই অফ ফর্মে চলে যাননি তিনি।
মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কায় হৃদয় বলেন, ‘প্রতিটা ম্যাচে প্রত্যেকটা খেলোয়াড় ভালো খেলে না এটাই স্বাভাবিক। একটা-দুটা ম্যাচে রান করিনি, এর মানে একদম অফ ফর্মে চলে গেলাম, ব্যাপারটা এমনও না। আমার মনে হয় এখানে বোঝার ভুল আছে। কিন্তু আমার দল থেকে কোচদের কিংবা খেলোয়াড়দের থেকে কারো এরকম অনুভব হয়নি, আমি এরকম অবস্থায় আছি। আমি মনে করি এখানে না, প্রত্যেকটা আন্তর্জাতিক ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ, প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের জন্য। এটা বিশ্বকাপ বা এশিয়া কাপ দেখেই না, প্রত্যেকটা ম্যাচই একজন খেলোয়াড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সবসময় চেষ্টা করি একজন ব্যাটার হিসেবে আমার দলের জন্য অবদান রাখার জন্য। ’
‘অবশ্যই হতাশ (শ্রীলঙ্কা ম্যাচ নিয়ে)। কারণ দলের রেজাল্ট হয়নি। আমার কাছে মনে হয় এই ইনিংস কোনো কাজের না। যদি দল রেজাল্ট করত, আমরা জিততাম সেক্ষেত্রে তখন নিজের কাছেও একটা সন্তুষ্টি কাজ করত। আশা করি পরবর্তীতে যদি এরকম কোনো সুযোগ আসে চেষ্টা করব, ওখান থেকে ম্যাচটা শেষ করে আসতে। ’
হৃদয় সাধারণত মিডল অর্ডারেই ব্যাট করে থাকেন। কিন্তু হুট করেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে তাকে নামানো হয় তিন নম্বরে। ভালো করতে পারেননি হৃদয়ও। ২ বলে শূন্য রান করে সাজঘরে ফিরে যান। হৃদয়ের অবশ্য বিশ্বাস, যেকোনো জায়গায় ব্যাট করার সামর্থ্য আছে তার।
তিনি বলেন, ‘আমি এখনো চিন্তা করি নাই যে কঠিন। ওয়ানডাউনে ব্যাটিং করার জন্য আমাদের দলের একটা পরিকল্পনা ছিল। আমি নিজেও প্রস্তুত ছিলাম। আমি এখনো বলছি, আমি যেকোনো জায়গার জন্য প্রস্তুত আছি। দল যদি মনে করে যে আমাকে মিডল অর্ডারে খেলাবে, ওয়ান ডাউনে খেলাবে, আমাকে স্লগে খেলাবে, আমি প্রস্তুত যেকোনো জায়গায় খেলার জন্য। ’
রানিং বিটউইন দ্য উইকেটেও দুর্দান্ত হৃদয়। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই অনেক সাহায্য করে। কারণ, আপনি সময় বাউন্ডারি পাবেন না। যে পজিশনে খেলি, সেখানে রানিং বিটউইন দ্য উইকেট বা সিঙ্গেল খেলাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সবসসময় আপনি বাউন্ডারি পাবেন না। যখন স্ট্রাইক রোটেশন থাকবে, তখন রানটা সচল থাকবে। এটাই চেষ্টা করি রানিং বিটউইন দ্য উইকেটে একের জায়গায় দুই, দুইয়ের জায়গায় তিন নিতে। ’
বাংলাদেশ সময় : ০৯২৩ ঘণ্টা, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
এমএইচবি