চাপ সামলে কেবলই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তখনই পথ হারালেন সাকিব আল হাসান।
৫৯ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর তরুণ সতীর্থ তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু সাকিবের। দারুণ জুটি গড়ার পথে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৫তম ফিফটিও তুলে নিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। কিন্তু শার্দুলের ছোবলে ভেঙে যায় ১০১ রানের জুটি। সাকিবের পরিবর্তে উইকেটে আসা শামীম হোসেন রবীন্দ্র জাদেজার শিকার হয়ে ফেরেন মাত্র ১ রানেই। তাই আবারও বিপাকে পড়েছে টাইগাররা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান। হৃদয় ৪০ ও নাসুম আহমেদ।
এশিয়া কাপের ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করে ফেলেছে ভারত। সুপার ফোর পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশেরও। তুলনামূলক গুরুত্বহীন এক ম্যাচে আজ শুক্রবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করছে সাকিববাহিনী।
এ ম্যাচে দুই দলেই আছে অভিষিক্ত ক্রিকেটার। ব্যাটার তিলক ভার্মা ভারতের ও পেসার তানজিম হাসান সাকিব বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ। এ ম্যাচের একাদশে বাংলাদেশ বদল এনেছে ৫টি।
পেসারদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। তাদের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম সাকিব। এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন নাঈম শেখ। তার জায়গা নিয়েছেন এনামুল হক বিজয়।
এত পরিবর্তন এনেও অবশ্য ব্যাটিংয়ের শুরুটা বাজেভাবে হয়েছে বাংলাদেশের। তানজিদের তিন চারে অবশ্য ভালো শুরুর ইঙ্গিত মিলছিল। কিন্তু অন্যপ্রান্তে লিটন মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় বলেই বিদায় নিলে সেই আশা শেষ হয়ে যায়।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামির প্রথম বলেই লাইন মিস করে শূন্য রানে বোল্ড হন লিটন। এবারের আসরে নিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬ রান এবং পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৫ রান করেছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
পরের ওভারে শার্দূল ঠাকুরের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে ফেরেন তানজিদও (১৩)। এরপর ব্যর্থ হন তিনে নামা বিজয়ও। আসরে প্রথমবার একাদশে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন এই উইকেটকিপার-ব্যাটার। ১১ বলের মোকাবিলায় ৪ রান করে শার্দূলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন বিজয়।
দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে হাল ধরেন সাকিব আল হাসান। প্রথম মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে ইনিংস মেরামত করেন। দুজনে মিলে ৫০ বলে যোগ করেন ৩১ রান। ভারতীয় স্পিনার অক্ষর প্যাটেলের নিরীহ দর্শন বলে কাট করতে গিয়ে স্লিপে থাকা রোহিত শর্মার হাতে সহজ দিয়ে বিদায় নেন মিরাজ (১৩)।
এরপর হৃদয়কে নিয়ে লড়াই শুরু করেন সাকিব। সেই অক্ষরের এক ওভারেই দুই ছক্কা সহ ১৬ রান তুলে নেন তিনি। এর মধ্যে প্রথমটি হাঁকিয়ে ফিফটির দেখা পান সাকিব। ৬৫ বলের মোকাবিলায় পাওয়া এই ফিফটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৫তম। বাংলাদেশের জার্সিতে তার চেয়ে এগিয়ে শুধুমাত্র তামিম ইকবাল (৫৬)।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩
এএইচএস