সদ্য সমাপ্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে একদমই নিষ্প্রভ ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। একপ্রকার ছন্দহীন থেকেই পা রাখেন আইপিএল৷ কিন্তু চেন্নাইয়ের সুপার কিংসের জার্সিতে প্রথম ম্যাচেই নিজের ঝলক দেখালেন বাঁহাতি এই পেসার।
বেঙ্গালুরু অবশ্য ৬ উইকেটের বেশি হারায়নি। এর মধ্যে মোস্তাফিজ একাই শিকার করেন ৪ উইকেট৷ ৪ ওভার বোলিং করে ২৯ রান খরচ করেন তিনি। আইপিএলে এর আগে কখনোই এক ম্যাচে ৪ উইকেটের দেখা পাননি এই পেসার। শুধু তা-ই নয়, এই ম্যাচ দিয়েই স্পর্শ করেছেন আইপিএলে ৫০ উইকেটের মাইলফলক।
মোস্তাফিজ প্রথম বোলিংয়ে আসেন ম্যাচের পঞ্চম ওভারে। প্রথম ওভারেই দুই উইকেট শিকার করেন তিনি। দারুণ খেলতে থাকা বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিকে বিদায় করে ব্রেকথ্রু এনে দেন এই পেসার। বলটির গতি বুঝতে ভুল করে ডিপ মিড উইকেটে উড়িয়ে মারেন ডু প্লেসি, নিচু ক্যাচটি অনেকটা দৌড়ে গিয়ে তালুবন্দি করেন নিউজিল্যান্ডের রাচিন রবীন্দ্র।
প্রথমটির পর দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পেতে মাত্র দুই বল অপেক্ষা করতে হয় মোস্তাফিজকে। দুটি বলে কোনো রানও আসেনি। ওভারের শেষ বলে তিনি বিদায় করেন রজত পাতিদারকে (০)। মোস্তাফিজের লেংথ বুঝতে না পারায় উইকেটের পেছনে মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে ক্যাচ দেন রজত।
দ্বিতীয়বার আক্রমণে আসতে দ্বাদশ ওভার পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হয় মোস্তাফিজকে। তবে ফিরেই ফের সাফল্য পান মোস্তাফিজ। এবার দ্বিতীয় বলেই তিনি ফেরান বেঙ্গালুরুর ওপেনার বিরাট কোহলিকে। মোস্তাফিজের স্লোয়ারে বিভ্রান্ত হয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে মারেন তিনি। দৌড়ে এসে ধরার চেষ্টা করলেও ভারসাম্য ধরে রাখতে পারেননি রাহানে। তবে তার ছুড়ে দেওয়া বলটি ভালোভাবেই লুফে নেন রবীন্দ্র। কোহলিকে শিকার করে আইপিএলে ৫০তম উইকেটের দেখা পান মোস্তাফিজ।
সেই ওভারেরই চতুর্থ বলে মোস্তাফিজ সরাসরি বোল্ড করে ফেরান আরেক সেট ব্যাটার ক্যামেরন গ্রিনকে (১৮)। মোস্তাফিজের ছোড়া স্লোয়ার গ্রিনের স্টাম্পে আঘাত করে। বল দিক পরিবর্তন করে গ্রিনের উইকেট কাঁপায়। প্রথম দুই ওভারে ৭ রানেই ৪ উইকেট হয়ে যায় মোস্তাফিজের। এর চেয়ে দারুণ শুরু কী হতে পারে!
কিন্তু পরের দুই ওভারে ২২ রান দেন মোস্তাফিজ। ৭৮ রানে ৫ উইকেট হারানো বেঙ্গালুরু ২০ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ১৭৩ রানের লড়াকু সংগ্রহ জমা করে৷ ষষ্ঠ উইকেটে ৫০ বলে ৯৫ রানের জুটি যোগ করেন অনুজ রাওয়াত (৪৮) ও দীনেশ কার্তিক (৩৮*)।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৪
এএইচএস