ব্যাটারদের প্রায় সবাই-ই হলেন ব্যর্থ। তাইজুল ইসলাম হাফ সেঞ্চুরি ছুতে পারলেন না অল্পের জন্য, তবুও তার লড়াই হয়ে থাকলো দারুণ কিছু।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে ২৮০ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রানে অলআউট হয়ে গেছে স্বাগতিকরা। ৯২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামবে শ্রীলঙ্কা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে ২৮০ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা। জবাবে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনশেষে ৬ উইকেটে ১৩২ রান করেছে বাংলাদেশ।
প্রথম দিনের শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়েছিল বাংলাদেশ। তিন উইকেট হারিয়ে তারা তখনই ছিল ভীষণ চাপে। দ্বিতীয় দিনের সকালও খুব বেশি আশা জাগানিয়া হয়নি বাংলাদেশের জন্য।
প্রথম ঘণ্টায়ই আউট হয়ে যান আগেরদিনের অপরাজিত ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয়। লাহিরু কুমারার অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরের বল জয়ের ব্যাটে লেগে চলে যায় তৃতীয় স্লিপে। ৪৬ বলে ১২ রান করে ফেরেন জয়।
শাহাদাৎ হোসেন দীপু এরপর সঙ্গী হন তাইজুলের। মাঝে একবার ক্যাচ তুলেও বেঁচে যান তাইজুল। দীপুর হাত ধরে আসে বাউন্ডারি। তাইজুলও তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন দারুণভাবে। কিন্তু আবারও বাংলাদেশকে বিপদে ফেলেন কুমারা।
এবার তিনি তুলে নেন দীপুর উইকেট। কিছুটা বউন্স করা বল প্রথম স্লিপে ক্যাচ যায়। ২৬ বলে এর আগে ১৮ রান করেন দীপু। বাংলাদেশের জন্য এরপর বড় ভরসা হয়ে ছিলেন লিটন দাস। তাইজুলও টিকে ছিলেন ক্রিজে।
এই দুজনের জুটিতে আবারও আশার আলো খুঁজে পায় বাংলাদেশ। কিন্তু ফের কুমারা উইকেট তুলে নেন। এবার তিনি বোল্ড করেন লিটন দাসকে। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে পড়া বল ভেতরে ঢুকে স্ট্যাম্পে আঘাত করে। ৭৬ বলে তাইজুলের সঙ্গে ৪১ রানের জুটি ছিল লিটনের।
লাঞ্চের ঠিক আগে লিটন আউট হন, তখন নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাইজুলের সঙ্গে তিনিই সেশনের বাকি সময়টা কাটিয়ে দেন। লাঞ্চের সময় তাইজুলের রান ছিল ৪২, ফিরে এসে একটি বাউন্ডারি ও সিঙ্গেলস নেন তিনি। প্রায় পুরোটা সময় ধরে লড়াই করা তাইজুল শেষ অবধি হাফ সেঞ্চুরি করার আগেই আউট হয়ে যান।
৮০ বলে ৬ চারে ৪৭ রান করার পর কাসুন রাজিথার অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৩৪ বলে ১১ রান করে রাজিথার বলেই আউট হয়ে যান মেহেদী হাসান মিরাজও।
ওখান থেকে বড় লিডের পথেই ছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ৩৫ বলে ৪০ রান করে সেটি হতে দেননি খালেদ ও শরিফুল। ২ ছক্কায় ২১ বলে ১৫ রান করেন শরিফুল এবং ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ বলে ২২ রান করেন খালেদ। লঙ্কানদের পক্ষে বিশ্ব ফার্নান্দো চার ও তিনটি করে উইকেট নেন কাসুন রাজিথা ও লাহিরু কুমারা।
বাংলাদেশ সময় : ১৪১২ ঘণ্টা, ২৩ মার্চ, ২০২৪
এমএইচবি