ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

শেষ বলে ছক্কা মারতে পারলেন না রশিদ, দিল্লির নাটকীয় জয়

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
শেষ বলে ছক্কা মারতে পারলেন না রশিদ, দিল্লির  নাটকীয় জয়

শেষ ওভারে দরকার ১৯ রান। প্রথম দুই বলে দুটি চার মারেন রশিদ খান।

কিন্তু পরের দুই বলে দেখা গেল উল্টো চিত্র। দুটো বল থেকেই কোনো রান আদায় করতে পারেননি তিনি। তবে পঞ্চম বলে ছক্কা মেরে গুজরাট টাইটান্সে কিছুটা স্বস্তি ফেরান এই আফগান। কিন্তু শেষ বলে আবারও সেই হতাশাই উপহার দিলেন।

পাঁচ রান দরকার হলেও মুকেশ শর্মার বলে কোনো রানই নিতে পারেননি রশিদ। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচটিতে ৪ রানের নাটকীয় জয় পায় দিল্লি ক্যাপিটালস। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২২৪ রান করে তারা। জবাবে সাই সুদর্শন ও ডেভিড মিলারের ফিফটির পরও ৮ উইকেটে ২২০ রানের বেশি করতে পারেনি গুজরাট।

তাড়া করতে নেমে শুরুতে অধিনায়ক শুভমান গিলকে ফিরলেও রানের গতি ধরে রাখেন ঋদ্ধিমান সাহা ও সাই সুদর্শন। দ্বিতীয় উইকেটে ৮২ রান যোগ করেন তারা। সাহাকে (৩৯) ফিরিয়ে দশম ওভারে এসে সেই জুটি ভাঙেন কুলদীপ যাদব। এরপর ডেথ ওভারের আগ পর্যন্ত আরও ৪ উইকেট হারায় গুজরাট। ৩৯ বলে ৬৫ রান করা সুদর্শন ফিরলেও তাদের ভরসা হয়েছিলেন মিলার। ঝোড়ো ইনিংসে মিলার ফিফটির দেখা পেলেও ম্যাচ শেষ হওয়ার ১৫ বল আগেই পতন ঘটে তার। ২৩ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৫ রান করেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার।   

বিশেষজ্ঞ বোলার হলেও গুজরাটকে জয় এনে দিতে কম চেষ্টা করেননি সাই কিশোর (১৩) ও রশিদ খান (২১)। কিন্তু দিনশেষে তা বিফলেই যায়। দিল্লির হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন রাসিক সালাম ও কুলদীপ নেন দুটি উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দিল্লির। পাওয়ার প্লের ভেতরই হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। তিনটিই শিকার করেন সন্দীপ ওয়ারিয়ের।  এরপর স্বাগতিকদের হাল ধরেন অক্ষর প্যাটেল ও রিশাভ পান্ট। ১১৩ রানের এই জুটি ভাঙে  অক্ষর আউট হলে। ৪৩ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৬ রান করেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। ইনিংস শেষ হতে তখনো ৩ ওভার বাকি। দিল্লির ২০০ রান করাও কঠিন মনে হচ্ছিল। কিন্তু তাণ্ডবের মাত্রাটা বাড়িয়ে পান্ট দিল্লির সংগ্রহ নিয়ে গিয়েছেন ২০০ ছাড়িয়ে। ট্রিস্টান স্টাবসকে সঙ্গে নিয়ে শেষ ৩ ওভারে ৬৭ রানের জুটি গড়েন এই বাঁহাতি। শেষ ওভার করতে আসা মোহিত শর্মার কাছ থেকে একাই ৩০ রান আদায় করেন তিনি।

টর্নেডো ইনিংসে ৪৩ বলে ৫ চার ও ৮ ছক্কায় ৮৮ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হন দিল্লি অধিনায়ক। ৭ বলে ২৬ রানের ক্যামিও খেলে তাকে দারুণ সঙ্গ দেন স্টাবস। পান্টের কাছে মার খেয়ে অবশ্য লজ্জার কীর্তিতে বসতে হয়েছে মোহিতকে।  আইপিএলে এক ইনিংসে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের মালিক এখন তিনি। আজ দিল্লির বিপক্ষে ৪ ওভারে ৭৩ রান দিয়ে উইকেটশূন‍্য ছিলেন ডানহাতি এই পেসার। এর আগে রেকর্ডটি ছিল বাসিল থাম্পি। ২০১৮ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৪ ওভারে ৭০ রান খরচ করেছিলেন এই পেসার।

বাংলাদেশ সময়ঃ ০০১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

এএইচএস 

 

    

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।