ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করে বাংলাদেশের ইতিহাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪
পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করে বাংলাদেশের ইতিহাস

কখনো ভরসা হলো ধৈর্য, কখনো ইতিবাচকতা। দ্রুত উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় পড়ে গেল দল, ধৈর্য ধরে এগিয়ে নিলেন কেউ।

কখনো ইতিবাচকতায় গড়ে উঠল জুটি, বড় হয়ে দলকে নিল সুবিধাজনক অবস্থায়। বোলারদের ভেতরের ক্ষুধা, উইকেট নেওয়ার তাড়না, লাইন-লেংথ ও গতি প্রতিপক্ষকে করল দিশেহারা।  

এভাবেই রচিত হলো ইতিহাস। সপ্তাহখানেক আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয় এসেছিল রাওয়ালপিন্ডিতে, ওখানেই স্মৃতিটা হলো আরও রঙিন। প্রথম ম্যাচ ছাপিয়ে এখন সেটি সিরিজ জয়। দেশের ক্রিকেটেরই সবচেয়ে উজ্জ্বল সাফল্যের স্থানের একটি হয়ে থাকল রাওয়ালপিন্ডি।  

দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করে ২৬২ রান। পাকিস্তান পরের ইনিংসে ১৭২ রানে অলআউট হলে ১৮৫ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় বাংলাদেশের সামনে। জিততে খুব বেশি কষ্ট হয়নি সফরকারীদের।  

এই জয়ের পর ২-০তে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। বিদেশের মাটিতে  এটি টাইগারদের তৃতীয় সিরিজ জয়।  

পঞ্চম দিনের শুরুটা বাংলাদেশ করে স্বপ্নকে সঙ্গী করে। পুরো টেস্ট সিরিজজুড়ে বারবার ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখে, ধৈর্য ধরে, ইতিবাচক থেকেছে বাংলাদেশ। এর ফল পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ জোরাল ছিল দিন শুরুর আগে থেকেই। সময় যত গড়িয়েছে, ততই সেটি আরও পোক্ত হচ্ছে।  

শেষদিনে প্রথম ব্যাটার হিসেবে বাংলাদেশ হারায় জাকির হাসানের উইকেট। মীর হামজার বলে বোল্ড হয়ে যান আগের দিন দুর্দান্ত শুরু এনে দেওয়া এই ব্যাটার। তিনি অবশ্য ফিরতে পারতেন আগেই।  

কিন্তু দুই ওভার আগে মোহাম্মদ আলির বল তার ব্যাট ছুয়ে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে যায়। অথচ আবেদনই করেননি পাকিস্তানের ফিল্ডাররা। ৩৯ বলে ৪০ রান করে আউট হন জাকির। তার বিদায়ের পর বাংলাদেশের রানের গতিও কমে যায়।  

নাজমুল হোসেন শান্ত শুরুটা করেন ধীরে। এর মধ্যেই সাজঘরে ফিরে যান সাদমান ইসলামও। ৫১ বলে ২৪ রান করে খুররাম শেহজাদের পাতা ফাঁদে ড্রাইভ করতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দেন তিনি। তার বিদায়ের পর থেকে দলের হাল ধরেন শান্ত ও মুমিনুল।  

দলকে জয়ের পথে রাখেন তারা। শান্ত অবশ্য ফিরে যান হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ হওয়ার আগেই। ৮২ বলে ৩৮ রান করে ক্যাচ তুলে দেন তিনি শর্ট লেগ ফিল্ডারের হাতে। জয়ের সময় মাঠে থাকতে পারেননি মুমিনুলও। ৭১ বলে ৩৪ রান করে আবরার আহমেদকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন তিনি।  

বাংলাদেশের জয় এসেছে দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের হাত ধরে। ৫১ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন মুশফিক, ৪৩ বলে ২১ রানে সাকিব।

সাকিবের ব্যাট থেকে আসা চারেই জয় পায় বাংলাদেশ। নানামুখী চাপে থাকা দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা স্মরণীয় সিরিজ জয়ের শেষ ছবিতে থাকেন। তার বল বাউন্ডারি ছুঁতেই উচ্ছ্বাসে ভাসে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুম। আজকের দিনটি নিশ্চিতভাবেই তাদের জন্য উৎসবের।  

বাংলাদেশ সময় : ১৫৩১ ঘণ্টা, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
এমএইচবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।