ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

বাংলাদেশের সামনে ২২২ রানের লক্ষ্য দিল ভারত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (স্পোর্টস) | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২৪
বাংলাদেশের সামনে ২২২ রানের লক্ষ্য দিল ভারত

পাওয়ার প্লেতে ভারতকে ভালোই আটকে রেখেছিল বাংলাদেশ, নিয়েছিল তিন উইকেট। কিন্তু নিতিশ রেড্ডি ও রিংকু সিংয়ের ঝড় এলোমেলো করে দেয় সব।

এর মধ্যে তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে অবশ্য ভারতের রান দুইশ ছাড়িয়ে খুব বেশি দূরে যায়নি।

বুধবার দিল্লিতে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে ভারতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান করেছে স্বাগতিকরা।

বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ এটি। ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার করা ২২৪ রান সর্বোচ্চ।  সিরিজে সমতায় ফিরতে হলে রান তাড়ার রেকর্ড গড়তে হবে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে। এর আগে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ২১৫ রান তাড়া করে জিতেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে একমাত্র জয়টি এই দিল্লিতেই এসেছিল।

ইনিংসের শুরুতে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ১৫ রান দিলেও দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট এনে দেন তাসকিন আহমেদ। দুর্দান্ত একটি ওভারের শেষ বলে গিয়ে সাফল্য পান তিনি। তার বল তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে দাঁড়ানো শান্তর হাতে ক্যাচ দেন সাঞ্জু স্যামসন। ৭ বলে ১০ রান করেছিলেন তিনি।  

পরের ওভারের শেষ বলেও উইকেট পায় বাংলাদেশ। এবার শেষ বলে অভিষেক শর্মাকে বোল্ড করেন তানজিম হাসান সাকিব। ১১ বলে ১৫ রান করেছিলেন তিনি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে গিয়েও উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। এবার মোস্তাফিজুর রহমানের বলে মিড অফে দাঁড়ানো শান্তকে ক্যাচ দেন ১০ বলে ৮ রান করা এই ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব।

পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৪৫ রান তোলে ভারত। কিন্তু এরপরও ভারতকে আটকাতে পারেনি বাংলাদেশ। রিংকু সিং ও নিতিশ রেড্ডির ঝড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন বোলাররা। রিশাদ হোসেনের করা ১০ম ওভারে ২৪ রান নেন তারা, ১৩তম ওভারে মিরাজ দেন ২৬ রান।  

এরপরই অবশ্য উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। ৩৪ বলে ৭৪ রানের ঝড় তোলা নিতিশকে ফিরিয়ে দেন মোস্তাফিজ। ৫ রানে লিটনের হাতে জীবন পাওয়া এই ব্যাটার চারটি চার ও সাতটি ছক্কা হাঁকান। ভাঙে রিংকুর সঙ্গে ৪৯ বলে তার ১০৮ রানের জুটি। এরপরও অবশ্য ভারতের ঝড় থামেনি।  

এর মধ্যেও ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল তাসকিন। নিজের কোটার শেষ ওভারেও উইকেটের দেখা পান এই ডানহাতি পেসার। ইনিংসের ১৭তম ওভারে দেন স্রেফ ৩ রান। ২৯ বলে ৫৩ রান করা রিংকু সিংকে আউট করেন তাসকিন। ৪ ওভারে স্রেফ ১৬ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন তিনি।  

শেষ ওভার করতে এসে তিনটি উইকেট তুলে নেন রিশাদ হোসেন, দেন ৮ রান। এতেই অবশ্য বাংলাদেশের বিপক্ষে রেকর্ড রান হয়নি। ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন রিশাদ, সমান ওভারে ৫০ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২৪
এমএইচবি/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।