হ্যারি ব্রুক সেঞ্চুরি করেছেন আগের টেস্টেও। তবে ১৭১ রানের ইনিংসটিতে ভাগ্যের সহায়তাও ছিল বটে।
ডানহাতি এই ব্যাটারের সেঞ্চুরির পরও প্রথম ইনিংসে ২৮০ রানের বেশি করতে পারেনি ইংল্যান্ড। তবে বোলারদের কল্যাণে চালকের আসনে আছে তারা। কেননা ৫ উইকেটে কেবল ৮৬ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করে নিউজিল্যান্ড।
১৫ উইকেটের দিনের শুরুটা অবশ্য ছিল কিছুটা ব্যতিক্রম। টিম সাউদির করা প্রথম ওভারেই ছক্কা মেরে বসেন ইংলিশ ওপেনার জ্যাক ক্রলি। তাও লং অফ লং অনের মাঝখান দিয়ে। টেস্ট ক্রিকেটে এর আগে প্রথম ওভারে ছক্কা মারার নজির ছিল কেবল সাবেক ক্যারিবিয়ান ব্যাটার ক্রিস গেইলের। ২০১২ সালে প্রথম ওভার করতে আসা বাংলাদেশের সোহাগ গাজীর প্রথম বলেই ছক্কা মারেন তিনি। সেই ম্যাচে আবার সোহাগের অভিষেকও হয়েছিল।
প্রথম ওভারে ছক্কার কিছুক্ষণ বাদেই মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখে ইংল্যান্ড। মাত্র ৪৩ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। সেখান থেকে ওলি পোপকে সঙ্গে নিয়ে ‘বাজবল’ খেলা শুরু করেন ব্রুক। যার ফলে ওভারপ্রতি গড়ে ছয়ের ওপর রান আসতে থাকে।
পঞ্চম উইকেটে ১৭৩ রানের জুটিটি ভাঙে পোপ বিদায় নিলে। ৭৮ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৬৬ রান করেন তিনি। তবে দারুণ খেলতে থাকা ব্রুক তুলে নেন ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি। একটি বাদে সবগুলো সেঞ্চুরিই তার এসেছে বিদেশের মাটিতে। শুধু তা-ই নয়, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সফরকারী ব্যাটার হিসেবে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ৩ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। আর একবার তিন অঙ্ক স্পর্শ করলেই ছাড়িয়ে যাবেন গ্রেগ চ্যাপেল, ডেসমন্ড হেইনস, জাভেদ মিঁয়াদাদ, এভারটন উইকস, কুমার সাঙ্গাকারা, জ্যাক ক্যালিসের মতো কিংবদন্তিদের।
এমন একটি ইনিংসের অপমৃত্যু ঘটান ব্রুক নিজেই। ক্রিস ওকসের বারণ করা সত্ত্বেও সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রান আউট হন তিনি। ১১৫ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ১২৩ রানে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। এরপর অবশ্য ইংল্যান্ডও বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। ৫৪.৪ ওভারে ৫.১২ ইকোনমি রেটে ২৮০ রান করে আউট হয় তারা। নিউজিল্যান্ডের ৮৬ রান খরচে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন ন্যাথান স্মিথ। এছাড়া উইলিয়াম ও’রোর্কি তিনটি ও ম্যাট হেনরি নেন দুটি উইকেট।
ব্রুকের সেঞ্চুরিতে কিছুটা হতাশা থাকলেও কিউইদের কাছে সুযোগ ছিল দিনটি নিজের করে নেওয়ার। কিন্তু তা হতে দেননি ইংলিশ পেসাররা। শুরুতে ডেভন কনওয়েকে ফিরিয়ে আঘাত হানেন গাস অ্যাটকিনসন। আরেক ওপেনার টম ল্যাথামও দাঁড়াতে পারেননি বেন স্টোকসের কারণে।
ভারত সিরিজে দাপট দেখানো রাচিন রবীন্দ্রকে ৩ রানে ফিরতে হয় ক্রিস ওকসের শিকার হয়ে। একপ্রান্ত আগলে রেখে কেইন উইলিয়ামসন কিছুটা সময় থিতু ছিলেন বটে। তবে তাকে বড় ইনিংস খেলতে দেননি ব্রাইডন কার্স। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে থামতে হয় ৫৬ বলে ৩ চারে ৩৭ রান করে। কার্স পরে ড্যারিল মিচেলকেও তুলে নেন। যার ফলে অস্বস্তিতে থেকেই দিন শেষ করতে হয় স্বাগতিকদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২৪
এএইচএস