ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ক্রিকেটের আরো কিছু গুরুতর আঘাত

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৪
ক্রিকেটের আরো কিছু গুরুতর আঘাত ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা হিসেবেই সমগ্র দুনিয়ায় পরিচিত। তবে, বাইশ গজের এ খেলায় যে মৃত্যু লুকিয়ে থাকে তা আবারো মনে করিয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান ফিলিপ হিউজ।

এর আগেও খেলতে গিয়ে আঘাত কেড়ে নিয়েছিল ক্রিকেটারদের জীবন।

পাঠকদের জন্য ক্রিকেট খেলতে গিয়ে গুরুতর আঘাত আর আঘাতের জন্য মৃত্যুবরণ করেছেন এমন কিছু সংবাদ তুলে ধরা হলঃ

 রমন লাম্বাঃ ৩৮ বছর বয়সে ভারতের সাবেক ওপেনার রমন লাম্বা মাথায় আঘাত পেয়ে মারা যান। ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় ঘরোয়া লিগে ফিল্ডিং করতে গিয়ে মিডঅনে দাঁড়ানো রমন লাম্বার মাথায় বল লাগে। হাসপাতালে নিয়ে মাথায় অস্ত্রোপচার করানো হলেও তিন দিন পর তিনি মারা যান।

আবদুল আজিজঃ পাকিস্তানের এ তরুণ ক্রিকেটার ছিলেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। বলের আঘাতে তিনি মাঠেই পড়ে যান। কিন্তু তারপরও আজিজ খেলা চালিয়ে গিয়েছিলেন। পরে অসুস্থবোধ করলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

 ইওয়েন চ্যাটফিল্ডঃ নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার ইওয়েন চ্যাটফিল্ড টেস্ট ম্যাচে ইংল্যান্ডের পেসার পিটার লেভারের একটি বাউন্সারে চোয়ালে আঘাত পান। পরে তার শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে তৎকালীন ইংল্যান্ড দলের ফিজিও বার্নান্ড থমাস তাকে ধীরে ধীরে সুস্থ করে তোলেন।

নারিমেন জামসেদজিঃ ভারতের সাবেক এ ওপেনার ব্যাটসম্যান ১৯৬২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে স্বাগতিক বোলার চার্লি গ্রিফিথের একটি বাউন্সারে মাথায় আঘাত পান। ছয়দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বেঁচে গেলেও তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়।

 মার্ক বাউচারঃ দ. আফ্রিকার উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মার্ক বাউচার ২০১২ সালের জুলাইয়ে ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে সামারসেটের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচে ইমরান তাহিরের করা একটি বল স্ট্যাম্পের বেলে লেগে বাউচারের চোখে লাগে। সেখানেই রক্ত ঝরে তার চোখ থেকে। এরকিছু দিন পর তিনি ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন।

সাবা করিমঃ ভারতের এ উইকেটকিপারেরও বাউচারের মতো আঘাত লাগে ২০০০ সালের এশিয়া কাপে। অনিল কুম্বলের একটি কুইকার বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান হাবিবুল বাশারের প্যাডে লেগে করিমের ডান চোখে আঘাত করে। পরে তার চোখ অপারেশন করতে হয়। ৩৪ বছর বয়সে তিনি ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন।

মার্ক ভারমুলেনঃ জিম্বাবুয়ের এ ক্রিকেটারের মাথায় বলের আঘাত লাগায় তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে ভারমুলেনের প্রথম এ ঘটনা ঘটে। এরপর ২০০৪ সালে অস্ট্রেরিয়ায় অনুষ্ঠিত ট্রায়াঙ্গুলার সিরিজে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে ভারমুলেনের হেলমেটের গ্রিল ভেঙে একটি বল তার ডান চোখে আঘাত করে। ফলে, তাকে অস্ত্রোপচার করাতে হয়।

অনিল কুম্বলেঃ ভারতের সাবেক অধিনায়ক অনিল কুম্বলের ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার মারভিন ডিলনের একটি বল চোয়ালে আঘাত করে। চোয়াল ভেঙে গেলে পরে তিনি ব্যান্ডেজ করে মাঠে নামেন। আর ব্যান্ডেজ নিয়ে বল করে বায়ান লারার উইকেট তুলে নিয়েছিলেন।

মাইক গ্যাটিং‍: ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার মাইক গ্যাটিং ১৯৮৬ সালে জ্যামাইকায় একটি ওয়ানডে ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার ম্যালকম মার্শালের একটি বাউন্সারে আঘাত পান। এতে তার নাক ভেঙে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, ২৭ নভেম্বর ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।