মিরপুর থেকে: এমনিতেই ব্যাটিং দানব বলা হয় ক্রিস হেনরি গেইলকে। আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার ঝড়ো ইনিংসগুলোর বর্ননায় বিশেষণ যোগ হয় নিত্য নতুন।
গেইলের সঙ্গ পেয়ে যেন বদলে গেলেন সাব্বিরও। বিপিএলের শুরু থেকেই রানখরায় থাকা সাব্বির বরিশাল বুলসের হয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে খেলেছেন সর্বোচ্চ ৪১ রানের ইনিংস।
প্রথম ওভারেই রনি তালুকদারের বিদায়ের পর গেইলের সঙ্গে জুটি বাধেন সাব্বির। দলীয় ৭৪ রানে গেইল আউট হলে ভাঙে তাদের ৭০ রানের জুটিটি। এ জুটিতেই উইকেট বিচারে ১৩৫ রানের লড়াকু স্কোর পায় বরিশাল। ১৯ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেন গেইল। বোলারদের দাপটে এ রানেই জয় তুলে নেয় বরিশাল।
এ জয়ের ভিত্তি গড়ে দিয়েছেন অবশ্য এ দুই ব্যাটসম্যানই। বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটারের গেইল দর্শন কেমন হলো সেটি জানালেন সাব্বির নিজেই। ম্যাচ শেষে ক্রিস গেইলের সঙ্গে ব্যাটিং করার অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে সাব্বির বলেন, আসলে গেইলের সঙ্গে ব্যাট করে রোমাঞ্চকর অনুভূতি হয়েছে। তিনি যখন ছক্কা মারছিলেন আমি তখন তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিলাম...। আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করে গেছি। যখন ৯ বলে মাত্র ১ রান নিয়েছি তখনও গেইল আমাকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছিলেন, সাহস দিচ্ছিলেন।
আগের ম্যাচগুলোতে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করলেও গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে তিন নম্বরে নেমে যান সাব্বির। সফলও হন। নিজের ইচ্ছাতেই নাকি পজিশন বদলে তিনে নেমেছিলেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান, ‘নিজের ইচ্ছাতেই তিনে ব্যাটিংয়ে নামি। আজ আত্মবিশ্বাস পাচ্ছিলাম। তাছাড়া নতুন বল মোকাবেলা করার ইচ্ছাও ছিল। উইকেটে ব্যাটিং করা কঠিন হলেও শেষ পর্যন্ত রান পেয়েছি। ’
তিনে ব্যাট করার টোটকা বেশ ভালোভাবেই লাগিয়েছেন সাব্বির। নতুন বল মোকাবেলায় পরের ম্যাচেও হয়তো তিনেই নামবেন সাব্বির। গেইলের সঙ্গে জুটিটা জমে গেলে বিপদেই পড়তে হতে পারে বরিশালের প্রতিপক্ষ রংপুরকে। আগামীকাল (রোববার) সন্ধ্যায়ই দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে সাকিবের রংপুরের বিপক্ষে নামবে গেইল-সাব্বিরদের বরিশাল।
বাংলাদেশ সময়: ০০২০ ঘণ্টা, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫
এসকে/এমআর