ঢাকা: কাগজে-কলমে সাদামাটা দলই গড়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এ টিম নিয়ে কতটা লড়াই করা যাবে এ নিয়ে সন্দেহ ছিল সমর্থকদের মাঝেও।
তার অসাধারণ নেতৃত্ব গোটা দলকেই উড়িয়েছে। মাঠের খেলায় দাপট দেখিয়েছেন শুরু থেকেই। সবার আগে লিগপর্ব থেকে শেষ চার নিশ্চিতের পর প্রথম দল হিসেবেই ফাইনাল নিশ্চিত করে মাশরাফির দল।
শুরু থেকে বিদেশি ক্রিকেটারও ধারবাহিকভাবে পাচ্ছিল না মাশরাফির কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। স্যামুয়েলস চলে গেছেন ৪ ম্যাচ খেলে। অ্যান্দ্রে রাসেলকে পাওয়া যায়নি শেষের দিকে। আহমেদ শেহজাদ, শোয়েব মালিকদেরও পাওয়া গেছে টুর্নামেন্টের মাঝপথে।
এ কঠিন পথটাকে সহজ করেছেন মাশরাফিই। তার নেতৃত্বগুনেই বিপিএলের ফাইনালে নতুন দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দল ফাইনালে উঠায় দেশি-বিদেশি সকল ক্রিকেটারই কৃতিত্ব দিচ্ছেন মাশরাফিকে। দলের পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিক সাফল্যের পেছেন পুরো কৃতিত্ব দিয়েছেন কুমিল্লার এ দলপতিকে।
মাশরাফি অবশ্য এমনটা মনে করছেন না। উল্টো দলের সবাইকেই কৃতিত্ব দিলেন ফাইনালে ওঠার পেছনে। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) টিম হোটেল ওয়েস্টিনে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে দলের সাফল্য প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, ‘টিম হিসেবে আমরা ভালো করেছি। সবাই খুব প্রফেশনালি পারফর্ম করেছে। মাঠ ও মাঠের বাইরে সবাই প্রফেশনাল ছিল, ডিসিপ্লিনড ছিল। নিজস্ব পারফরম্যান্স যাতে ঠিকমতো করতে পারে সেদিকে সবার নজড় ছিল। সবকিছু মিলে আমরা এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করেছি। একা কখনো একটা টিম ঠিক করা যায়না, পরিবর্তন করা যায়না। এ পর্যন্ত আসার পেছনে টিম ম্যানেজমেন্ট, ম্যানেজার, কোচ, টিমমেট সবার কৃতিত্ব রয়েছে। ’
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বিপিএলের তৃতীয় আসরের ফাইনালে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে লড়বে মাশরাফির কুমিল্লা। ফাইনালেও দলের কাছ থেকে ভালো ক্রিকেট আশা করছেন মাশরাফি, ‘আমরা যেভাবে খেলতে চেয়েছি সেভাবে এ পর্যন্ত খেলতে পেরেছি। এখন তো দুই দলেরই বাঁচা-মরার ম্যাচ। আমরা আশাবাদী, পজিটিভ রয়েছি। শেষ যতগুলো ম্যাচ জিতেছি, যেভাবে খেলে এসেছি, আশা করছি সেভাবে খেলতে পারলে ভালো কিছুই হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫
এসকে/এমআর