ঢাকা: দলীয় ১৯ রানের মাথায় ওপেনার মেহেদি মারুফ ফিরে গেলে ব্যাট হাতে নামেন টাইগার ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। আরেক ওপেনার সেকুজে প্রসন্নের সঙ্গে জুটি বাধেন রানে ফেরা সাব্বির।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বরিশাল ৫ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৩৭ রান। প্রসন্ন ব্যাটে ঝড় তুলে ১১ বলে ২১ রান করেছেন।
২৩ দিনের জমজমাট লড়াইয়ের পর কুমিল্লা-বরিশালের মধ্যকার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরু হয়। টস জিতে হাইভোল্টেজ এ ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নেন কুমিল্লার দলপতি মাশরাফি। ব্যাট হাতে বরিশালের হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন মেহেদি মারুফ এবং সেকুজে প্রসন্ন।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে বুলসের ওপেনার মেহেদি মারুফ এলবির ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন। আসহার জাইদির বলে সাজঘরে ফেরেন মারুফ। আউট হওয়ার আগে ১৩ বলে একটি ছক্কায় ১১ রান করেন মারুফ।
১০ ম্যাচের ৭টি জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে নেট রানরেটে এগিয়ে থেকে টেবিলের শীর্ষস্থান নিয়ে প্রথম দল হিসেবে মাশরাফির কুমিল্লা উঠে যায় শেষ চারে। শেষ চারেও সেই একই ঝলক অব্যাহত থাকে মাশরাফিদের। প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রংপুরকে ৭২ রানে হারিয়ে উঠে যায় স্বপ্নের ফাইনালে। অপরদিকে কুমিল্লার সমান ১০ ম্যাচের ৭টিতে জয় নিয়ে ১৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করলেও নেট রানরেটে পিছিয়ে থেকে শেষ চার নিশ্চিত করে রিয়াদের বুরিশাল। এলিমিনিটর ম্যাচে ঢাকাকে আর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রংপুরকে হারিয়ে কুমিল্লার সঙ্গী হয় বরিশাল।
বরিশাল একাদশ: মাহামুদুল্লাহ, সাব্বির রহমান, আল আমিন হোসেন, শাহরিয়ার নাফিস, মেহেদি মারুফ, নাদিফ চৌধুরি, রনি তালুকদার, সেকুজে প্রসন্ন, মোহাম্মদ সামি, কেভিন কুপার এবং রায়াদ এমরিত।
কুমিল্লা একাদশ: মাশরাফি, লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, শুভাগত হোম, নাঈম ইসলাম (জুনিয়র), আবু হায়দার, অলোক কাপালি, স্টিভেন্স, আসহার জাইদি, আহমেদ শেহজাদ এবং কুলাসেকারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫
এমআর
