ঢাকা: ক্লাব ক্রিকেটের সবচেয়ে সম্মানজনক টুর্নামেন্ট ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ। ক্রিকেটারদের মূল আয়ের উৎসও এটি।
খেলোয়াড়দের গ্রেড নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলকে। প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদের কথায় স্পষ্ট হলো, খুব বেশি কাট-ছাট হচ্ছে না আগের গ্রেডিং থেকে। পূর্বের গ্রেডিং থেকে হয়তো কয়েকজন খেলোয়াড় উপরের গ্রেডে উঠবেন আর কয়েকজন নেমে যাবেন। তবে জাতীয় লিগে যারা ধারবাহিকভাবে ভালো করছেন তাদের গ্রেডিং উপরের দিকেই চলে আসবে বলে আভাস দিলেন ফারুক আহমেদ।
শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আসলে আমরা কাজ করি বোর্ডের নির্দেশে। আমাদের বলা হয়েছে খেলোয়াড়দের গ্রেডিং সমেত একটা তালিকা প্রস্তুত করতে। সেটা আমরা করছি। আমার মনে হয় আগের মতো পাঁচটি গ্রেডই থাকবে। প্লেয়ারদের পারফরম্যান্স অনুযায়ী যারা ভালো খেলছে জাতীয় লিগ যারা নিয়মিত খেলে তাদের গ্রেডিংটা একটু উন্নীত হতে পারে। ’
ফারুক আহমেদ আরও যোগ করেন, আগের বছর একটা গ্রেডিং করা হয়েছিল। এবার আমরা বর্তমান পারফরম্যান্স দেখবো। এছাড়া নতুন অনেক ছেলে এসেছে যারা জাতীয় লিগ খেলছে। আমাদের যে লিস্টটা সরবরাহ করেছিল সেটা দেখে আমরা কিছু গ্রেডে পরিবর্তন এনেছি। কিছু সংযোজন করেছি। খুব শিঘ্রই এটা চূড়ান্ত হয়ে যাবে। ’
২০১৫-১৬ মৌসুমের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শুরু হবে আগামী ২৪ মার্চ। লিগ শুরুর আগে সব ক্রিকেটার পারিশ্রমিকের ৫০ ভাগ পেয়ে যাবেন। বাকি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি চেক হিসেবে বিসিবিকে জমা দিতে হবে ক্লাবগুলোকে। ১৫ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে প্লেয়ার্স বাই চয়েজ।
২০১২-১৩ মৌসুমে প্লেয়ার্স বাই চয়েজ পদ্ধতিতে গ্রেডিং অনুযায়ী ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ছিল এমন; এ-প্লাস গ্রেড ২২ লাখ টাকা, ‘এ’ গ্রেড ১৫ লাখ টাকা, ‘বি’-প্লাস গ্রেড ১০ লাখ টাকা, ‘সি’ গ্রেড ৫ লাখ টাকা, ‘ডি’ গ্রেড ২.৫ লাখ টাকা, ‘ই’ গ্রেড ১ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৫
এসকে/এমএমএস