ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ভারতেই বেশি ভালোবাসা পান আফ্রিদিরা!

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৬
ভারতেই বেশি ভালোবাসা পান আফ্রিদিরা! ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: কলকাতায় পা রেখে ভারতীয় সমর্থকদের উষ্ণ অভ্যর্থনাই পেয়েছেন বলে দাবি করেন শহীদ আফ্রিদি। অধিনায়কের সঙ্গে সুর মিলিয়ে শোয়েব মালিকও বলছেন, ভারতে এসে পাকিস্তান দল কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি অনুভব করেনি।


 
কয়েক দফা কালবিলম্বের পর শনিবার (১২ মার্চ) রাতে কলকাতায় পৌঁছায় টিম পাকিস্তান। এর আগে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) লিখিতভাবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার আশ্বাস দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমমা ব্যানার্জি। এর পরই সরকার থেকে পাকিস্তান দলের ভারতে উড়াল দেওয়ার চূড়ান্ত অনুমতি পায় পিসিবি।

ভারতে পাকিস্তান দলের নিরাপত্তা নিয়ে মিডিয়ার অতি আগ্রহে আগ্রহী নন আফ্রিদি ও মালিক। পাকিস্তান অধিনায়কের অভিমত, ‘আমি বিশ্বের যেকোনো জায়গায় খেলে এতোটা উপভোগ করি না, যতটা না ভারতে হই। আমি এখন ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে এবং বলতে পারি, ভারতে যে পরিমান ভালোবাসা পেয়েছি তা সব সময়ই মনে রাখব। এমনকি, পাকিস্তান থেকেও আমরা এরকম ভালোবাসা পাইনি। ’

‘বুমবুম’ আফ্রিদি যোগ করেন, ‘পাকিস্তানের মতো এখানেও ক্রিকেট-প্রেমী মানুষ রয়েছে। সব মিলিয়ে আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ভারতের মাটিতে খেলেই অনেক বেশি উপভোগ করেছি। ’

এ তো গেল আফ্রিদির অনুভূতি। এবার আসা যাক মালিকের কথায়। যিনি আবার বিয়ে করেছেন ভারতের টেনিস তারকা সানিয়া মির্জাকে। ভারতে আসতে পেরে নিজেকে সম্মানিতও মনে করেন শোয়েব মালিক, ‘প্রথমত, আমি ভারত সরকারকে ধন্যবাদ দিতে চাই। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই ভালো। আমার স্ত্রী ভারতীয় এবং এখানে আমি অনেকবারই এসেছি। কখনোই কোনো ধরনের নিরাপত্তা ইস্যুর মুখোমুখি হইনি। সবসময়ই এখানকার মানুষ ও মিডিয়ার ভালোবাসা পেয়েছি। ভারতে এসে নিজেকে সম্মানিত বোধ করছি। ’

এদিকে, ভারতে পাকিস্তান দলের দেরিতে আসা প্রসঙ্গে আফ্রিদির ভাষ্য, ‘সরকার যে সিদ্ধান্তই নেবে আমরা তা সমর্থন করবো। আমরা ক্রিকেটার, রাজনীতিবিদ নই। ক্রীড়া সমসময়ই এই দুই দেশকে একত্রিত করেছে। এখানে ক্রিকেটের চেয়ে আরো ভালো কিছু কী হতে পারত? আমি মনে করি, আমাদের উচিৎ এখান থেকে রাজনীতিকে দূরে রাখা। ’

বলা বাহুল্য, সম্প্রতি নিরাপত্তা শঙ্কায় ভারত-পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচের ভেন্যুও পরিবর্তন করা হয়। আগামী ১৯ মার্চ ‘ক্রিকেটীয় যুদ্ধে’ মাঠে নামবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ। তার আগে সুপার-১০ এ নিজেদের প্রথম ম্যাচেই আফ্রিদিদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। সম্প্রতি টাইগারদের কাছে হেরেই এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নেয় পাকিস্তান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৬
আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।