ঢাকা: ‘ক্রিকেটের মক্কা’ খ্যাত লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত কীর্তিগুলো স্থান পায় সেখানকার অনার্স বোর্ডে। লডর্সের দেখাদেখি ইংল্যান্ডের ওল্ড ট্রাফোর্ডসহ আরও কয়েকটি স্টেডিয়ামে চালু করা হয়েছে অনার্স বোর্ড।
২০১০ সালে বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও শাহাদাত হোসেন নাম লিখিয়েছেন লর্ডসের অনাস বোর্ডে। ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে টেস্টে শাহাদাত পাঁচ উইকেট ও তামিম সেঞ্চুরি করে অনার্স বোডে নাম লেখান। লর্ডসের মতো মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামেও অনার্স বোর্ড থাকা উচিত বলে জানালেন তামিম ইকবাল।
বুধবার মিরপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে অনার্স বোর্ড থাকা উচিত কিনা-এ প্রশ্নের জবাবে তামিম বলেন, ‘আমি মনে করি অবশ্যই থাকা উচিত। কারণ লর্ডস যেমন ইংল্যান্ডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য শের-ই-বাংলা সমান গুরুত্বপূর্ণ। ছোট বাচ্চাদের স্বপ্ন থাকে ওরা শের-ই-বাংলায় খেলবে। আমার জন্য সব মাঠই গুরুত্বপূর্ণ তবে আমার দেশের নিজের মাটি একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ’
ক্রিকেটারদের জন্য অনার্স বোর্ড থাকার গুরুত্ব বোঝাতে তামিম বলেন, ‘যদি একটা অনার্স বোর্ড করা হয়, কেউ যদি বড় কোনো কীর্তি গড়ে এবং সেটি যদি লেখা হয় ভালো হবে। যতদিন খেলবো ততদিন হয়তো মূল্য বুঝবো না, যখন ক্রিকেট ছেড়ে দিব তখন বুঝবো। হয়তো তখন আমি আমার ছেলেকে দেখাতে পারবো আমি এখানে কিছু একটা করেছিলাম। আমি নিশ্চিত অন্য সবাই তাদের পরিবারের সদস্যদের দেখাতে পারবে। অবশ্যই করা উচিত, কারণ শুধু লর্ডসে না ইংল্যান্ডের অনেক মাঠেই বোর্ড আছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, ২৭ জুলাই, ২০১৬
এসকে/এমএমএস