ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

আদর্শ ক্রিকেটারকে পেয়ে রোমাঞ্চিত মাশরাফি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৬
আদর্শ ক্রিকেটারকে পেয়ে রোমাঞ্চিত মাশরাফি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

ঢাকা: ‘কোর্টনি ওয়ালশের মতো হাই-প্রোফাইলের ক্রিকেটার বাংলাদেশের বোলিং কোচ, এটা অনেক বড় ব্যাপার। প্রথমত তার সাথে আমরা ড্রেসিং রুম শেয়ার করতে পারবো।

শুধু আমাদের বোলারই নন, দলের বাকিদের উপরও দারুণ ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে। এখনও পর্যন্ত তার কাছ থেকে আমি সর্বোচ্চ ভালোটাই আশা করছি। তার মতো একজন কিংবদন্তির সাথে আমি ড্রেসিং রুম শেয়ার করতে পারবো সেটা ভেবেই এই মুহূর্তে আমি বেশি রোমাঞ্চিত। ’ বলছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) অনুশীলন শেষে নতুন পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের ব্যাপারে এভাবেই নিজের মনোভাব ব্যক্ত করেন ম্যাশ।

অনেক গুঞ্জন ও জল্পনা কল্পনা শেষে বৃহস্পতিবার সকালে ওয়স্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড বিবৃতি দিয়ে ওয়ালশের বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের ব্যাপারটি নিশ্চিত করে। ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত লাল-সবুজের দলের সঙ্গে থাকছেন এই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট কিংবদন্তি।

কোচ হিসেবে তাকে পেয়ে খুশি টাইগার কাপ্তান, ‘ছোটবেলা থেকে আমি একজনেরই ফ্যান ছিলাম, তিনি কোর্টনি ওয়ালশ। ক্যারিয়ারে বিভিন্ন সময়ে আমি একথা বলেছি। বোলিং কোচ হিসেবে যেহেতু তিনি আসছেন, সেহেতু আম‍রা অনেক কিছুই তার কাছ থেকে শিখতে চাইবো। কেননা ওনার কাছ থেকে জানার ও শেখার আছে অনেক। ’

মাশরাফির উচ্ছ্বাস না থাকার অবশ্য কোনো কারণ নেই। কেননা একজন ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ালশের ক্যারিয়ার বেশ দুর্দান্ত। টেস্ট ক্রিকেটে ৫০০ উইকেট শিকার করা প্রথম বোলার তিনিই। ছিলেন এক সময়ের সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট শিকারিও।

সাদা পোশাকে ১৩২টি ম্যাচ খেলে থলিতে পুড়েছেন ৫১৯টি উইকেট। আর রঙিন পোশাক গায়ে ২০৫টি ম্যাচ থেকে তুলে নিয়েছেন ২২৭ উইকেট।

টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটের পাশাপাশি তিনি দ্যুতি ছড়িয়েছেন কাউন্ট্রি ক্রিকেটেও। গ্লাস্টারশায়ারের হয়ে ১৮৪ ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা ৮৬৯টি।

গ্রেটেস্ট ওয়ালশকে পেয়ে মাশরাফির উচ্ছ্বাসের অবশ্য আরেকটি মৌলিক কারণ আছে। আর সেটি হলো এদেশে টেস্ট ক্রিকেটে বোলার তৈরির বিষয়টি।     

‘বিশ্বের গ্রেটেস্ট বোলারদের মধ্যে অবশ্যই ওয়ালশ একজন। আমার কাছে মনে হয় টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি তার আগ্রহের মাত্রাটি ছিল অনেক বেশি। সে ১৩২টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। যদি আপনি সংখ্যার দিক দিয়ে যান, তাহলে সেটা নিছক কম নয়। পেস বোলার হিসেবে এতগুলো টেস্ট ম্যাচ খেলা, সেই আগ্রহটা ধরে রাখা এবং উইকেটের যে ক্ষুধা তার ভেতরে দেখেছি এই জিনিসগুলো শিখতে পারলে আমার মনে হয় আমাদের দেশের বোলাররা বেশি উপকৃত হবে। পাশাপাশি বোলিংয়ের কিছু বিশেষত্ব তো আছেই, যেটা আমাদের একেক বোলারের একেক রকম। একজন ক্রিকেটারকে কি করে বড় করে তুলতে হয় সেই টেকনিক্যাল ব্যাপারগুলো একজন ভালো কোচই বুঝবেন। ’  ম্যাশ যোগ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬
এইচএল/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।