ঢাকা: বাংলাদেশ-আফগানিস্তান তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ চলাকালীন শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের নিরাপত্তাকর্মীদের চোখ এড়িয়ে মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজার ভক্ত মেহেদি হাসান।
এ ঘটনার পর বিসিবির নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজ-এর ক্রীড়া সাংবাদিক আতিফ আজমকে গতকাল (মঙ্গলবার) শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বিসিবির নিরাপত্তা সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলী।
গতকাল মঙ্গলবার (০৪ অক্টোবর) বিকেলে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড ও বিসিবি একাদশের ম্যাচ চলাকালীন সময় এই ঘটনা ঘটে।
পেশাগত কারণে বিসিবির ফটোগ্রাফারের কাছে মোহাম্মদ আলীর ছবি চাওয়ার জের ধরেই তিনি এমন আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়েছেন বলে জানান সেখানে উপস্থিত ক্রীড়া সাংবাদিকরা।
তারা জানান, মোহাম্মদ আলী ওই সাংবাদিককে ধমক এবং নানাভাবে ভয়ভীতি দেখান। এমনকি তার শার্টের কলার ধরেও টেনে ধরেন।
ম্যাচটি কাভার করতে ফতুল্লায় যাওয়া সাংবাদিকরা আলীর শাস্তি দাবি করে একটি স্মারকলিপি প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর মাধ্যমে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনকে দেন।
ক্রীড়া সাংবাদিকদের তিন সংগঠন বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি, বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট কমিউনিটি আলাদা বিবৃতিতে আলীকে অপসারণ করতে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়।
বুধবার (০৫ অক্টোবর) দুপুরে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজের ট্রফি উন্মোচনের পর সাংবাদিকরা বিষয়টি নিয়ে জানতে চান নিজাম উদ্দিনের কাছে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী জানান, ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।
সময়সীমার ব্যাপারটি মনে করিয়ে দেয়া হলে নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘একটু সময়ের প্রয়োজন। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের সঙ্গে আজ বা কাল অন্য বিষয়ে একটি মিটিং রয়েছে। সেখানে এই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হবে। ’
দাবি পূরণ না হলে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন ক্রীড়া সাংবাদিকরা। অতীতেও মোহাম্মদ আলীর অধীনে থাকা স্টেডিয়ামের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত কর্মীদের হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন কয়েকজন সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, ০৫ অক্টোবর, ২০১৬
এসকে/এমএমএস