ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

অস্ত্রোপচারের পক্ষে নন শহীদ

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৬
অস্ত্রোপচারের পক্ষে নন শহীদ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-ফাইল ফটো

বিপিএলে দুর্দান্ত বোলিং করে যাচ্ছিলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের পেসার মোহাম্মদ শহীদ। ৮ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট দখলের লড়াইয়ে ছিলেন ভালোভাবেই। নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে শহীদকে ঘিরে আলাদা ভাবনা তৈরী হয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্টের।

ঢাকা: বিপিএলে দুর্দান্ত বোলিং করে যাচ্ছিলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের পেসার মোহাম্মদ শহীদ। ৮ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট দখলের লড়াইয়ে ছিলেন ভালোভাবেই।

নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে শহীদকে ঘিরে আলাদা ভাবনা তৈরী হয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্টের।

টেস্ট বোলারের তকমা পাওয়া শহীদ নিজেকে প্রমাণ করে যাচ্ছিলেন সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও। ক্যারিয়ারের উজ্জ্বল সময়ে শহীদের পথচলা থামিয়ে দিয়েছে হাঁটুর চোট! নিজেকে ফিট করতে শহীদ যখন মিরপুরের একাডেমি মাঠে পরিশ্রম করছেন জাতীয় দলের ২৩ ক্রিকেটার তখন সিডনিতে ৮ দিনের ক্যাম্প শেষে পৌঁছে গেছে নিউজিল্যান্ডে।

জাতীয় দলকে খুব মিস করছেন শহীদ, ‘অনেক মিস করছি। আমার নিউজিল্যান্ডে থাকার কথা ছিল আর এখন আমি একাডেমিতে। সব কিছুই ভালো ছিল। আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। আমিও জানতাম না ইনজুরি হয়ে যাবে। তাহলে হয়তো ডাইভ দিতাম না। কিছু করার নেই। পরিস্থিতি যেটা করে ওটাই মেনে নিতে হবে। ’

গত ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ফিল্ডিং করার সময় চোট পান তিনি। এমআরআই  করানোর পর প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, তার এসিএল (এন্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট) লিগামেন্ট আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তিন-চার সপ্তাহ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী।

...

হাঁটুতে ব্যথা না থাকায় গতকাল থেকে পুনর্বাসনের কাজ শুরু করেছেন শহীদ। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ডাক্তার নাকি পরামর্শ দিয়েছেন অস্ত্রোপচার করিয়ে ফেলতে। শহীদ নিজেও জানেন অস্ত্রোপচার করালে ভালো হবে। তারপরও অস্ত্রোপচারের পক্ষে নন এ ক্রিকেটার।  

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) দেবাশিষ চৌধুরী অস্ট্রেলিয়া থেকে ঢাকায় ফিরে শহীদকে পর্যবেক্ষণ করে নেবেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, ‘ব্যথা অনেক আগেই চলে গেছে। স্যার (দেবাশিষ চৌধুরী) এক কথাই বলে যদি ভালো কিছু চাও তাহলে অপারেশন করালে বেটার। অপারেশন না করালে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। ফেইল করবো না তবে লং-টাইম বোলিং করতে গেলে হালকা-পাতলা ব্যথা অনুভব হতে পারে। ’

‘আমি নিজে অপারেশনের পক্ষপাতী না। ডাক্তাররা আমার ভবিষ্যত ভেবে করতে বলছে। অপারেশন করালে আমাকে চিন্তা করতে হবে না। ব্যথা ছাড়াই ফ্রেশভাবে আমি খেলতে পারবো। যদি না করি হালকা-পাতলা ব্যথা থাকবে, ওটা আমার জন্য কঠিন হবে। কাল হয়তো সিদ্ধান্ত হবে। কাল দেবাশিষ স্যার আসবেন। আসার পর সিদ্ধান্ত হবে। ’

অস্ত্রোপচার না হলে এক সপ্তাহ পরই বল হাতে নিতে পারবেন শহীদ। নিউজিল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে হয়তো ফিট হয়ে উঠতে পারবেন। অস্ত্রোপচার হলে ৩-৪ মাস মাঠের বাইরে কাটাতে হবে এ পেসারকে। বিসিবির চিকিৎসক শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেন সেটির দিকে হয়তো তাকিয়ে থাকবে টিম ম্যানেজমেন্টও।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৬
এসকে/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।