এ বিষয়ে তার অভিমত, ‘বারবার আমরা একই ভুল করেছি। অসময়ে উইকেট হারিয়েছি।
স্বাগতিক দলটির বিপক্ষে সফরকারী দেশের ব্যাটিং নিয়ে এই নির্বাচক আরও বললেন, ‘ওয়ানডে সিরিজে আমরা ব্যাটিং ভালো করিনি কিন্তু করা উচিত ছিল। কন্ডিশন যে খুব একটা আমাদের বিপক্ষে ছিল সেটা বলবো না। কারণ উইকেট ছিল বেশ ব্যাটিং-বান্ধব। নিউজিল্যান্ডে আমরা সাধারণত যে ধরণের উইকেট দেখে থাকি সে ধরণের উইকেট এই সিরিজে দেখছি না। তাছাড়া বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও যদি দেখেন ততটা সাইলেন্ট মুভমেন্ট নেই। তারপরেও কেন ব্যাটিংয়ে এই অবস্থা হলো বুঝতে পারছি না। আমি আরও ভাল ব্যাটিং আশা করেছিলাম। ’
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে বাংলাদেশ কিউইদের বিপক্ষে পেরে উঠেনি কারণ তাদের সামনে ছিল ৩৪২ রানের পর্বত সমান লক্ষ্য। তৃতীয়টিতে টাইগারদের রসদ হিসেবে ছিল ২৩৬ রানের স্বল্প সংগ্রহ। কিন্তু, একটি কথা সবাই এক বাক্যে স্বীকার করবেন যে, সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয়ের আশা জাগিয়েও হেরে গেছে লাল-সবুজের দল।
কেননা জয়ের জন্য লক্ষ্যটি কিন্তু আহামরি ছিল না, মাত্র ২৫২ রান। ওপেনিং জুটিতে তামিম দ্রুত ফিরলেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সাব্বির ও ইমরুল যেভাবে ব্যাট চালাচ্ছিলেন তাতে একবারের জন্যও কারোরই হয়তো মনে হয়নি মাশরাফিরা এই ম্যাচটি হেরে যাবেন। কেননা ব্যক্তিগত ৩৮ ও দলীয় ১০৫ রানে সাব্বির যখন রানআউট হয়ে ফিরলেন তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৫ রান, ওভার শেষ হয়েছে মাত্র ২৩টি। তাছাড়া তখনও ব্যাটিংয়ে নামার অপেক্ষায় সাকিব, রিয়াদ, মোসাদ্দেক ও সোহানের মতো ব্যাটসম্যানরা।
কিন্তু, অবাক করার বিষয় হলো সাব্বিরের বিদায়ের পরেই তাসের ঘরের মতো বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার ধসে পড়লো। ফলে অনেকটাই নিশ্চিত জয়টা হাত ছাড়া হয়ে যাওয়ায় এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হারতে হলো সফরকারীদের।
জয়ের অনেকটা কাছে গিয়েও এভাবে দল হেরে যাওয়ায় রীতিমত ব্যথিত সুমন। তাই অনেকটা আক্ষেপ করেই বললেন, ‘একটু ভালো ব্যাটিং করলেই ওই ম্যাচটি জেতা যেত। প্রথম ম্যাচে আমাদের বোলাররা ভুল করেছিল। সবাই শর্ট লেংথে বল করায় দিন শেষে তার মূল্য দিতে হয়েছে। তবে পরের দুটি ম্যাচেই তারা ফিরে এসেছে। কিন্তু, আমাদের ব্যাটসম্যানরা পারেনি। ’
এদিকে, ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজটি নিয়ে সুমনকে খুব বেশি আশাবাদী মনে হলো না, ‘ওয়ানেডেতে যতটা আশা করেছিলাম টি০টোয়েন্টিতেও কিছুটা কম। কারণ এই ফরমেটে যে ধরণের বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান দরকার তা আমাদের নেই। তবে আগের যে কোন সিরিজের চেয়ে তুলনামূলক ভালো পারফরম্যান্স আশা করছি। ’
ওয়ানডের হতাশা ভুলে নেপিয়ারে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্ল্যাক ক্যাপসদের মোকাবেলা করবে টাইগাররা। বাকি দু’টি ম্যাচ মাঠে গড়াবে ৬ ও ৮ জানুয়ারি। টি-টোয়েন্টির পর রয়েছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ১ জানুয়ারি, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম