শুধু অনুরাগ ঠাকুর নন, বোর্ডের সেক্রেটারি অজয় শিরকেও সরিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড হিসেবে খ্যাতি পাওয়া ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) আর লোধা কমিশন নিয়ে চলা জটিলতা বেশ পুরোনো ছিল।
সর্বশেষ বিশেষ সাধারণ সভাতেও লোধা কমিশনের বেশ কিছু সুপারিশ মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল বিসিসিআই। সোমবার লোধা কমিটির সুপারিশ মেনে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট থেকে সরানো হয় এই দু’জনকে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পর্য়বেক্ষক নিয়োগ করবে সুপ্রিম কোর্ট৷ এ সময় পর্যন্ত বোর্ডের কাজ পরিচালনা করবেন দুই সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট৷ এছাড়াও বোর্ড ও তার অধীনস্ত সংস্থাগুলোকে মেনে চলতে হবে লোধা কমিটির সুপারিশ৷ শিরকের জায়গায় কাজ করবেন জয়েন্ট সেক্রেটারি অমিতাভ চৌধুরি।
অনুরাগের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ছিল, তিনি আইসিসি প্রধান শশাঙ্ক মনোহরকে আদালতের ওপর হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ করেছিলেন। এছাড়া, অনুরাগ আদালতে যে হলফনামা দিয়েছেন, তাতে দাবি করেছেন, মনোহরকে এমন অনুরোধ করেননি। মিথ্যা হলফনামা দেওয়া আদালতের দৃষ্টিতে অপরাধ হিসেবেই বিবেচ্য হয়।
সুপ্রিম কোর্টের এই ঐতিহাসিক রায়ের পর কমিটির প্রধান আরএম লোধা জানান, ‘এর ফলে ভারতীয় বোর্ড আরও এগিয়ে যাবে৷ বোর্ডে স্বচ্ছতা আনা জরুরি ছিল৷ বোর্ডের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় আদালতে ভুল তথ্য পেশ করার জন্য অনুরাগ ঠাকুরকে শো-কজ করা হয়। ’
পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বাছাইয়ের জন্য দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ ভারতের সাবেক সলিটরি জেনারেল ফালি নরিমন ও সিনিয়র আইনজীবী গোপাল সুব্রহ্মনিয়মকে এই কমিটিতে রাখা হয়েছে৷
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, ০২ জানুয়ারি ২০১৭
এমআরপি/এমএমএস