পুরো ২০১৬ সালেই বাজে খেলা সৌম্যকে টি-২০ স্কোয়াডে রেখেছেন নির্বাচকরা। গত বছর ১৬টি টি-২০’তে ১৪.৩৫ গড়ে মাত্র ২৮৭ রান করেছিলেন তিনি।
কিউই সফরে প্রথম ওয়ানডে খেলেছিলেন বাঁহাতি এ তারকা ব্যাটসম্যান। কিন্তু এক রান করতেই বিদায় নিতে হয় তাকে। ফলে পরের দুই ম্যাচে সাইড বেঞ্চে বসে থাকতে হয়। হাতুরুসিংসে মনে করেন, সৌম্য নিজেকে ইতোমধ্যে ম্যাচ উইনার হিসেবে প্রমাণ করেছে, ‘সে (সৌম্য) রান করলে আমরা ম্যাচ জিতি। যার কারণে এখনও আমরা তার আশায় থাকি। আসলে ৪০ এর বেশি গড় ও ১’শ মতো স্ট্রাইক রেটের ক’জন ব্যাটসম্যান বাংলাদেশে আছে! এমনকি বিশ্বেই বা কয়জন আছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ছেলেটির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার মতো যোগ্যতা রয়েছে। যদি প্রতিটি ভালো ক্রিকেটারের ইতিহাস ঘাটেন দেখবেন, স্টিভেন স্মিথ বা জো রুটের মতো ক্রিকেটারও বাজে সময় কাটিয়েছে। এখন তারা নিজেদের ঠিকভাবে ফিরিয়ে এনেছে। আমি আশাকরি সৌম্য খুব দ্রুতই ফিরতে পারবে। ’
এদিকে টি-২০ দলে নেওয়া অলরাউন্ডার শুভাগত হোম চৌধুরী প্রসঙ্গে কোচ বলেন, ‘সে জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ টি-২০ খেলেছে। নির্বাচকদের খেলোয়াড় বাছাইয়ে ধারাবাহিক হতে হয়। সে গত বিশ্বকাপেও খেলেছে এবং ভালো বল করেছে। এই কারণেই সে দলে। ’
টি-২০ দলে না থাকলেও ওয়ানডে দলে ছিলেন লেগ স্পিনার তানভির হায়দার। যদিও শেষ দুটি ম্যাচ খেলে কোনো উইকেটের দেখা পাননি তিনি। তবে এই লেগির ওপর ভবিষ্যতে আস্থা রাখতে চান কোচ। এমনকি আগামী চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও বিশ্বকাপে তাকে দলে দেখতে চান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, ০২ জানুয়ারি, ২০১৭
এমএমএস