আঙুল তোলা হয়েছে সেই সময় ক্রিজে থাকা দুই ব্যাটসম্যান, অজি অধিনায়ক স্মিথ ও পিটার হ্যান্ডসকম্বের দিকে। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অন্যায় ভাবে ড্রেসিংরুম থেকে ডিআরএস নিয়ে সাহায্য নিচ্ছিলেন।
এর মধ্যেই আইসিসি যে দ্রুত বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, স্মিথের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে ভীষণই ক্ষুব্ধ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
আইসিসি’র সিদ্ধান্তে চটেছেন ভারতের কিংবদন্তি সুনিল গাভাস্কারও। এক টিভি চ্যানেলে তিনি বলেন, ‘ভারতীয় কোনও ক্রিকেটার এর পরে যদি ডিআরএস নেওয়ার সময় ড্রেসিংরুমের সাহায্য চায়, তা হলে কি তাদের শাস্তি দেওয়া হবে? আমি দেখতে চাই, রাঁচিতে বিরাট কোহালি ডিআরএস নেওয়ার সময় ড্রেসিংরুমের দিকে তাকাচ্ছে। দেখবো, ম্যাচ রেফারি আর আইসিসি তখন কী করে। ’
এদিকে এখন মনে হচ্ছে ভারতীয় বোর্ড লিখিত অভিযোগ জানানোয় নিরপেক্ষ বিচারক দিয়ে শুনানি করতে বাধ্য হবে আইসিসি। ভারতীয় বোর্ড প্রমাণ হিসেবে ম্যাচের সেই মুহূর্তের ভিডিও ক্লিপিংসও পাঠিয়েছে আইসিসিকে। ভারতীয় বোর্ডের দাবি, সেই ক্লিপিংসে পরিষ্কারই স্মিথ ড্রেসিংরুমের পরামর্শ চাইছেন বলে প্রমাণ রয়েছে।
স্মিথের বিরুদ্ধে ‘লেভেল টু’ অপরাধ আনা হয়েছে। ঘটনার আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে এই অভিযোগ দায়ের করতে হয়। জানা গিয়েছে, আইসিসি কোনও পদক্ষেপ না করায় ভারতীয় বোর্ড এবং ক্রিকেটারেরা তো ক্ষুব্ধ ছিলেনই। তারা আরও রেগে গিয়েছেন, অস্ট্রেলীয়রা ক্রমাগত পাল্টা বিবৃতি দিয়ে যাওয়ায়। পরে অভিযোগ তুলে নিয়ে বিসিসিআই থেকে বলা হয়, ‘বিসিসিআই এই অভিযোগ প্রত্যাহার করলো। আমরা আইসিসির সঙ্গে একমত হয়ে চাই দুই অধিনায়ক রাঁচি টেস্টের আগে একসঙ্গে সাক্ষাত করবে ও ব্যাপারটি চুকিয়ে ফেলবে। ’
এর আগে কোহালি সাংবাদিক সম্মেলনে এসে অভিযোগ করেছিলেন, স্মিথ-রা এই প্রথম নয়, আগেও দু’বার এমন ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করেছিলেন। ঘুরিয়ে তিনি প্রতারকই বলে দেন অজি দলকে। সেই বিবৃতি নিয়ে বৃহস্পতিবারও অজি সহকারী কোচ পাল্টা জবাবে বলেন, ‘এটা একেবারেই ভিত্তিহীন অভিযোগ। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, ১০ মার্চ, ২০১৭
এমএমএস