যেহেতু রিয়াদ দলের হয়ে দ্বিতীয় টেস্টে খেলছেন না এবং দ্বিতীয় টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজ পর্যন্ত প্রায় ৮ দিনের একটি বিরতি তিনি পাচ্ছেন, সেহেতু তিনি দেশে আসতেই পারেন বলে মনে করেন এই বোর্ড সভাপতি। আর এই বিরতিতে রিয়াদ আসবেন কি না সেটা একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার এবং এ বিষয়ে বিসিবি কোনো হস্তক্ষেপ করবে না বলেও মনে করেন পাপন।
পাপন জানান, ‘রিয়াদকে দেশে পাঠিয়ে দেয়ার কোনো খবর আমার জানা নেই। তবে সে যদি আসতে চায় সেটা তার ব্যাপার। যেহেতু দ্বিতীয় টেস্ট নেই, তাই কয়েকদিনের জন্য সে আসতে পারে। তাহলে তো আবার তাকে মাশরাফিদের সাথে যেতে হবে, আমি সবকিছু জানি না। রিয়াদকে পাঠিয়ে দেয়ার প্রশ্ন উঠে না। ’
দ্বিতীয় টেস্টের আগেই রিয়াদকে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে; এ তথ্যটি শ্রীলঙ্কায় গণমাধ্যমকে দিয়েছেন মূলত বাংলাদেশ জাতীয় দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। বিষয়টির সাথে দ্বিমত পোষণ করে পাপন আরও বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ তার উপরে। সে থাকবে নাকি চলে আসবে এটা তার উপরে নির্ভর করছে। ম্যানেজমেন্ট রিয়াদকে ফেরত পাঠানোর প্রশ্নই উঠে না। যেহেতু সামনে ওয়ানডে আছে, আমি নিশ্চিত তার ওখানে থাকার কথা। তা না হলে অন্তত আমি জানতাম। ’
বাংলাদেশ ক্রিকেটে রিয়াদের অবদানের কথা উল্লেখ করে বিসিবি সভাপতি জানান, ‘রিয়াদ একজন সিনিয়র প্লেয়ার। দলের জন্য ওর অনেক অবদান আছে। হতে পারে কম্বিনেশনের কারণে কোনো ম্যাচে একজন প্লেয়ার ঢুকবে, বাদ পড়বে এটাই স্বাভাবিক। আমাদের সাথে আলাপ করে কেউ এটা করেনি। ’
‘রিয়াদ ওয়ানডে দলে থাকবে না এটা হতেই পারে না। আমার সাথে যেহেতু আলাপ হয়নি সেহেতু মনে হয় না এরকম কিছু হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এখন পর্যন্ত আমার কাছে এমন কোনো স্কোয়াড আসেনি বা কেউ বলেনি যে সে থাকছে না, তাহল বুঝতাম রিয়াদ চলে আসছে। তবে এটা ঠিক যে রিয়াদ দ্বিতীয় টেস্টে নেই। তবে সামনে থাকার কথা। আমার সাথে কথা না বলে তাকে ওয়ানডে দল থেকে বাদ দেবে, আমার এটা মনে হয় না। ’ যোগ করেন পাপন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ১৩ মার্চ ২০১৭
এইচএল/এমআরপি