ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ঢাকায় জ্বলজ্বল করছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৭
ঢাকায় জ্বলজ্বল করছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চোখর সামনে চকচকে সিলভার রঙের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ট্রফিকে ঘিরে উৎসুক জনতা। একঝলক কাছ থেকে দেখবে বলে ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখে মুখে মুগ্ধতার প্রতিচ্ছবি। পাশেই ট্রফি নিরাপত্তায় সজাগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এভাবেই রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের নিচতলায় শনিবারের (১৮ মার্চ) সকালটি শুরু হয়েছে তিনদিনের আমন্ত্রিত অতিথি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির। সকাল ১১টায় উন্মোচন করা হয় ট্রফি।

 

দু’দিন সকাল ১০ টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলবে এই ট্রফি প্রদর্শন। বিশ্বকাপের পর সবচেয়ে মূল্যবান ট্রফি এটি। তাই দর্শকদের আকাঙ্খাও অনেক বেশি। দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে ট্রফিটি। চাইলে যে কেউ এসে দেখতে পারেন চকচকে এই অতিথিকে। চাইলে সেলফিও তুলতে পারবেন।

একঝলক দেখার আশায় সকাল থেকেই যমুনা ফিউচার পার্কে আসতে শুরু করেছে ক্রিকেটপাগলরা। এসময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) ইভেন্ট অপারেটর সারাহ এডগার, বিসিসির নিরাপত্তা প্রধান মেজর হোসেইন ইমাম, নিরাপত্তা সমন্বয়ক ইমরান কবির নাদিমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশ বেষ্টনি দেয়া হয়েছে। ২২ জন পুলিশ দু’দিনের জন্য এখানে অবস্থান করবেন বলে বাংলানিউজকে জানান বিসিবির নিরাপত্তা সমন্বয়ক ইমরান কবির নাদিম।

১ জুন থেকে ইংল্যান্ডে বসছে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর। আট দেশের প্রায় ১৮ শহর ভ্রমণে বেড়িয়েছে ‘নিশান ট্রফি ট্যুর’। ২ মার্চ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত থেকেই শুরু হয় এই ট্রফির যাত্রা। ২ থেকে ১৫ মার্চ ভারতের মুম্বাই, বেঙ্গালুরু ও দিল্লি শহর ঘুরে এটি এখন ঢাকায়। দিল্লি থেকে ১৮ মার্চ ট্রফি চলে আসে রাজধানীতে। এরপর ঢাকা থেকে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া হয়ে ২ মে ট্রফি পৌঁছাবে ইংল্যান্ডে।

২০ তারিখে ট্রফিটি শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে নেয়া হবে। এরপর ২১ তারিখে ভ্রমণ শেষে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা দেবে এই অতিথি।

অনেকই জানেন। তারপরেও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শুরুটা কিন্তু ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশেই, নকআউট বিশ্বকাপ নামে। স্বাগতিক হয়েও সেই আসরে ছিল না বাংলাদেশ, তখনো যে পাওয়া হয়নি টেস্ট মর্যাদাটা! পরের তিন আসরে বাংলাদেশ খেললেও বাদ হয়ে যায় এর পর থেকেই। ২০০৬ সালে ছিল বাছাই পর্ব, যেটা উতরে মূল পর্বে যেতে পারেনি বাংলাদেশ। এরপর ২০০৯ সাল থেকে তো টুর্নামেন্টটা হচ্ছেই ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ আট দলকে নিয়ে, যেখানটায় কিছুদিন আগ পর্যন্তও ঠাঁই হয়নি বাংলাদেশের।

এবার হয়েছে, যোগ্যতার পরিচয় দিয়েই। আইসিসির বেঁধে দেওয়া সময়ে ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ আটে ছিল বাংলাদেশ, সুবাদে মিলেছে ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার সুযোগ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, ১৮ মার্চ ২০১৭ 
জেএইচ/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।