বিশেষ করে এই হতাশায় অবসরের চিন্তাও করেছিলেন কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার।
মিড-ডে’কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে শচীন জানান, হারের পর এতটাই হতাশ হয়ে পড়েছিলাম যে, দুই দিন তিনি হোটেল রুম থেকে বের হইনি।
লিটল মাস্টার খ্যাত এ তারকা বলেন, ‘বিশ্বকাপ থেকে হারের পর আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজে আরও দুই দিন ছিলাম। তবে সে সময় আমি আমার রুম থেকে একবারের জন্যও বের হইনি। কোনো কিছু মনে ধরছিল না। এটা আসলে এমন একটা বিষণ্নতা ছিল যা কোনো কাজেই মন বসতে দেয়নি। এমন মুহূর্ত ভুলে পরবর্তী কোনো টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণটা ছিল বেশ কঠিন। ’
ভারত সেবার গ্রুপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে যায়। পাঁচ উইকেটের সেই হার প্রথমেই ধাক্কা দেয় রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে থাকা ভারতকে। দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্বল বারমুডার বিপক্ষে অবশ্য বড় জয় নিশ্চিত করে। কিন্তু আজকের এই দিনে (২৩ মার্চ) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ম্যাচ হেরে আসর থেকে চূড়ান্ত বিদায় নেয় ভারত।
শচীন আরও বলেন, ‘২৩ মার্চ আমার জীবনের বাজে দিনগুলোর একটি। প্রথমে আমরা বাংলাদেশ ও পরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে যাই। ফলে ২০০৭ বিশ্বকাপ আমাদের জন্য অবশ্যই ভালো ছিল না। আমরা কখনো ভাবিনি বাংলাদেশের বিপক্ষে হারবো। আমরা অতি-আত্মবিশ্বাসী ছিলাম না। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতবো এমন আত্মবিশ্বাস ছিল। ক্রিকেট আসলে অনিশ্চয়তার খেলা। ’
এমন বাজে অভিজ্ঞতার পর অবশ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছেন শচীন। আর তাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করেছেন ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ভিভ রিচার্ডস, ‘স্যার ভিভ রিচার্ডসের একটি কল আসলো। তিনি আমার সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিট কথা বললেন। ক্রিকেটের উত্থান-পতন সম্পর্কে জানালেন। তিনি আমাকে জানান, ক্রিকেটে এখনও অনেক কিছু দেওয়ার আছে। ’
এরপর তো শচীনের ইতিহাস সবারই জানা। পরেরবার ২০১১ বিশ্বকাপ জিতে নিলেন। ওয়ানডে ও টেস্ট মিলিয়ে ১০০ সেঞ্চুরি উদযাপন করলেন। ব্যাটিংয়ের প্রায় সব রেকর্ডই নিজের করে নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, ২৩ মার্চ, ২০১৭
এমএমএস