আগে যেখানে হাঁটতে গেলে ক্রাচ লাগতো সেটা আর এখন লাগছে না। তাছাড়া স্বাভাবিক হাঁটাচলায়ও তার কোনো সমস্যা নেই বলে জানালেন বিসিবি চিকিৎসক ডা: দেবাশীষ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিসিবিতে নিজ কার্যালয়ে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, ‘শহীদের হাঁটুর অস্ত্রোপচারের চার সপ্তাহ চলছে। পুনর্বাসনের প্রথম ধাপটি সে ভালোভাবেই সম্পন্ন করেছে। আমরা আজকে তাকে রিভিউ করেছি। এখন ফিজিও থেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে থেরাপি, রিহ্যাব অনুশীলন চলছে। একমাসে তার যে অগ্রগতি সেটা যথেষ্ট সন্তোষজনক। সে ক্রাচ ছেড়ে দিয়েছে। এখন নিজেই কোনো সাপোর্ট ছাড়া হাঁটাচলা করছে। স্বাভাবিক হাঁটচলায় শহীদের কোনো সমস্যা নেই। ’
শহীদের হাঁটুর পুনর্বাসনের প্রথম ধাপের কাজ শেষ। এবার তিনি শুরু করবেন দ্বিতীয় ধাপের পুনর্বাসন, যা চলবে আগামী দুই সপ্তাহ পর্যন্ত। পায়ের ব্যথা ও ফোলা সারিয়ে তুলতে এই দুই সপ্তাহ তার ফিজিও থেরাপি অব্যাহত থাকবে বলে জানান বিসিবি চিকিৎসক।
তিনি যোগ করেন, ‘দেড় মাস পর থেকে আমাদের দ্বিতীয় ধাপের রিহ্যাব শুরু হবে। আগমী দুই সপ্তাহ সে থেরাপি চালিয়ে যাবে, মূল উদ্দেশ্য হলো তার পায়ের ফোলা ও ব্যথা সারিয়ে তোলা ও রেঞ্জ ফিরিয়ে আনা। এভাবে অগ্রতি হতে থাকলে আশা করছি আগামী দুই সপ্তাহ পর সে দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করতে পারবে। ’
একই প্রসঙ্গে দেবাশীষ আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় ধাপে শক্তিবৃদ্ধি, ভারসাম্য ও ফ্লেক্সিবিলিটির উপরে জোর দেয়া হয়। এই ধাপটি দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত চলে। এরপর শহীদকে আমরা স্ট্রেংদিং অনুশীলনে নিয়ে আসবো। তিন থেকে চার মাস পর ধীরে ধীরে সে স্কিল ট্রেনিংয়ে প্রবেশ করবে। সব হয়ে গেলে ছয় মাসের মধ্যে সে খেলায় ফিরতে পারবে। তবে তার ম্যাচ ফিটনেসের ব্যাপারটি এখনই বলা কঠিন। পেস বোলারদের ক্ষেত্রে আমরা ছয় মাসের আগে টোটাল ম্যাচ ফিটনেস আশা করি না। আশা করছি ৬-৭ মাসের মধ্যে শহীদ পুরোপুরি খেলায় ফিরতে পারবে। ’
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৬ নভেম্বর বিপিএলের চতুর্থ আসরে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে খেলা এই টাইগার পেসার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে হাঁটুতে চোট পান। ফলে গেল জানুয়ারিতে নিজজিল্যান্ডের বিপক্ষে স্কোয়াডে থেকেও সিরিজ থেকে ছিটকে যান। অভিশপ্ত ইনজুরি তাকে খেলতে দেয়নি ভারতের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট সিরিজটিও। নেই শ্রীলঙ্কাতেও।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, ২৩ মার্চ ২০১৭
এইচএল/এমআরপি