ইডেন গার্ডেন্সে অভিষিক্ত হওয়া এই ক্রিকেটার ভারতের জার্সি গায়ে ওয়ানডে খেলেছেন ১৯টি, টেস্ট খেলেছেন ৩৯টি। আর প্র্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ১৫৯টি।
গাভরির সময়ে ক্রিকেটাররা ম্যাচ খেলার পাশাপাশি নিজেদের আর্থিক অবস্থার উন্নতিতে চাকরি করতেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। কেউ রেলওয়েতে, কেউবা ব্যাংকে আবার কোনো কোনো ক্রিকেটার বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
বর্তমান ভারতীয় ক্রিকেটারদের বেশির ভাগই পেশাদার ক্রিকেটকে বেছে নিয়ে অবসরের পর ব্যবসা দাঁড় করাচ্ছেন। এর বাইরেও তারা বিজ্ঞাপনের রমরমা বাণিজ্যে যুক্ত হয়ে রাতারাতি নিজেদের নিয়ে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
কারণ প্রকাশে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, আগে ভারতীয় ক্রিকেটাররা যে ম্যাচ ফি পেতেন তার প্রায় ৬০০ গুণ বেশি ম্যাচ ফি পাচ্ছেন বিরাট কোহলি, সুরেশ রায়না, রোহিত শর্মা, মহেন্দ্র সিং ধোনি, রবীন্দ্র জাদেজা, রবীচন্দ্রন অশ্বিনরা।
সম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেটারদের শুধু বেতনই বাড়েনি, গত বছর বেড়েছে ম্যাচ ফি। যেখানে গাভরির সময়ে টেস্ট ক্রিকেটাররা ম্যাচ ফি হিসেবে প্রতি ম্যাচে পেতেন ২৫০০ ভারতীয় রূপি, সেখানে বর্তমান ক্রিকেটাররা প্রতি ম্যাচেই পাচ্ছেন ১৫ লাখ ভারতীয় রূপি। ওয়ানডে ম্যাচে পাবেন ৬ লাখ রূপি আর ২০ ওভারের প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেই তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে ৩ লাখ ভারতীয় রূপি।
সঙ্গে পাচ্ছেন বিজ্ঞাপন দাতাদের চমকপ্রদ প্রস্তাব। ঘরোয়া ক্রিকেটের জমজমাট আসর আইপিএলের অর্থ তো এসবকেও ছাড়িয়ে গেছে।
গতকাল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ক্রিকেটারদের নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে এনেছে। নতুন এই চুক্তিতে কোনো কোনো ক্রিকেটারের বাৎসরিক বেতনও দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। নতুন চুক্তিতে বিরাট কোহলি, মহেন্দ্র সিং ধোনি, রবীচন্দ্রন অশ্বিন, অজিঙ্কা রাহানে, চেতেশ্বর পূজারা, রবীন্দ্র জাদেজা, মুরলী বিজয়রা বোর্ডের কাছ থেকে এক বছরে ২ কোটি রূপি বেতন পাবেন। নতুন চুক্তি অনুযায়ী গ্রেড-১ ক্রিকেটাররা বেতন পাবেন বছরে ২ কোটি রূপি। গ্রেড-২ ক্রিকেটাররা বেতন পাবেন ১ কোটি রূপি, গ্রেড-৩ ক্রিকেটাররা বেতন পাবেন ৫০ লাখ রূপি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ২৩ মার্চ ২০১৭
এমআরপি