২-১ এ সিরিজ জিতলেও আসবে ইতিবাচক পরিবর্তন। বাংলাদেশের ২ রেটিং পয়েন্ট বাড়ার সাথে সাথে ১ রেটিং পয়েন্ট হারাবে লঙ্কানরা।
চিত্র যদি বিপরীত হয়, মানে স্বাগতিকদের কাছে যদি তিনটি ম্যাচই হেরে যায়, তাহলে সাত থেকে আটে নেমে যাবে, মাশরাফি ও তার দল। এতে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার আশা কিছুটা হলেও মিইয়ে যাবে।
রঙিন পোশাকে বিগত দিনগুলোর দুর্দান্ত ধারাবাহিকতা ও ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে এগিয়ে যাবার মিশনে শনিবার (২৫ মার্চ) স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামছে সফরকারী বাংলাদেশ।
ডাম্বুলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে শনিবার (২৫ মার্চ) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায়।
ডাম্বুলায় বাংলাদেশ এর আগে খেলেছিল আজ থেকে ৭ বছর আগে। ২০১০ সালের এশিয়া কাপে। কিন্তু মাঠ ছাড়তে হয়েছিল হারের স্বাদ নিয়ে। তিন প্রতিপক্ষ ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল তামিম-সাকিবদের। কিন্তু এই সিরিজে যে বাংলাদেশকে দেখা যাবে সে বাংলাদেশ যে বদলে যাওয়া একটি দলের নাম।
বদলে যাওয়া বাংলাদেশ বলার কারণ অবশ্য একটি নয়, একাধিক। ২০১৫ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে ক্রিকেটে জয়ের যে ধারাবাহিকতা মাশরাফিরা ধরে রেখেছে, তাতে শুধু শ্রীলঙ্কা কেন, যে কোন দলকেই বলে কয়ে হারিয়ে দেয়ার মতো ক্ষমতা তাদের আছে। আছে দলটির সাম্প্রতিক কিছু অসাধারণ পারফরম্যান্সও। খুব দূরে যাওয়া দরকার নেই। শততম টেস্ট ম্যাচটির কথাই ধরা যাক।
টেস্টে শ্রীলঙ্কার মাটিতে তাদের হারানো নিশ্চয়ই সহজ কোন কাজ নয়। কিন্তু সেই কঠিন কাজটিও টাইগাররা করে দেখিয়েছে। জয়ের তরতাজা এই স্মৃতিটি সিরিজের প্রথম ম্যাচে টাইগারদের বাড়তি প্রেরণা যোগাবে, সন্দেহ নেই। আছে গত ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে তাদের চোখে চোখ রেখে লড়াইয়ের স্মৃতিও। তাছাড়া টিম কম্বিনেশন, প্লেয়ারদের ভেতরকার পারস্পারিক বোঝাপড়াও এই মুহূর্তে দারুণ।
একথা ঠিক যে মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশের চাইতে ঢের এগিয়ে লঙ্কানরা। ওয়ানডতে ৩৮ ম্যাচের ৩৩টিতেই জয়ের হাসি ছিল লঙ্কানদের। একটি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত। তাতে কি এসে যায়? স্বাগতিকদের হারাতে এই ম্যাচে টাইগারদের অনুপ্রেরণা যোগাতে পারে শ্রীলঙ্কার মাটিতে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজের ফলাফলও।
চার বছর আগে পাল্লেকেলেতে প্রথমটিতে হারের পর তৃতীয় ওয়ানডেতে জয় তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজ শেষ হয়েছিল ১-১ সমতায়। ২য় ম্যাচটি ছিল পরিত্যাক্ত।
তাই সিরিজ জয় কিংবা হোয়াইটওয়াশ টাইগারদের জন্য কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।
তবে লঙ্কানরা যে ছেড়ে কথা বলবে, তা ভাবারও সুযোগ নেই। বাংলাদেশের কাছে সদ্য টেস্ট হারের ক্ষতটি এখনও শুকায়নি। সেই ক্ষতে প্রলেপ দিতে হলেও তারা চাইবে নিজেদের মাটিতে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিতে। আর সেটি করতে শুরুটা তারাও জয় দিয়েই করতে চাইবে।
কাজেই ক্রিকেট বিশ্ব যে আরেকটি জমজমাট লড়াই দেখতে যাচ্ছে, সে কথা বলার অপেক্ষা নেই। একদিকে শ্রীলঙ্কার অবস্থান ধরে রাখার লড়াই, আরেকদিকে বাংলাদেশের এগিয়ে যাবার লড়াই।
এখন দেখার বিষয়, কে কার মিশনে সফল হয়। জয়ের মাল্য কার ভাগ্যে জোটে? বাঘের ভাগ্যে নাকি সিংহের ভাগ্যে?
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৪ ঘণ্টা, ২৪ মার্চ, ২০১৭
এইচএল/এমএমএস