উইকেটে অপরাজিত আছেন দিনেশ চান্দিমাল (৩৭) এবং মিলিন্দা সিরিবর্ধানে (২)। মাশরাফি, মিরাজ, তাসকিন ও সাকিব একটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন।
ফিল্ডিংয়ে নেমে বাংলাদেশের হয়ে বোলিং শুরু করেন মাশরাফি। লঙ্কানদের হয়ে ইনিংস শুরু করতে নামেন দাসুনকা গুনাথিলাকা এবং উপুল থারাঙ্গা। ইনিংসের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই ম্যাশের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন গুনাথিলাকা। রিভিউ নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি তার। দলীয় শূন্য রানেই প্রথম উইকেট হারায় লঙ্কানরা। মাশরাফি প্রথম ওভারে কোনো রান না দিয়েই উইকেট তুলে নেন।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে কুশল মেন্ডিসকে (৪) বিদায় করেন অভিষিক্ত মিরাজ। আগেই একবার মেন্ডিসকে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেললেও এবার শুভাগতর তালুবন্দি করেন। দলীয় ১৫ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় লঙ্কানরা। এরপর টিকতে পারেননি ওপেনার উপুল থারাঙ্গা (১৯)। তাসকিনের করা দলীয় ১১তম ওভারের শেষ বলে মাশরাফির তালুবন্দি হয়ে ফেরেন থারাঙ্গা। দলীয় ৩১ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এরপর জুটি গড়ে ৫৬ রান যোগ করেন আসেলা গুনারত্নে এবং চান্দিমাল। ইনিংসের ২৪তম ওভারে সাকিবের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে মোসাদ্দেকের দারুণ এক ক্যাচে ফেরেন ২৪ রান করা গুনারত্নে। দলীয় ৮৭ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
শনিবার (২৫ মার্চ) রনগিরি ডাম্বুলা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডেতে বেলা তিনটায় মুখোমুখি হয় শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান দলপতি উপল থারাঙ্গা। তবে, টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মুর্তজা জানান, টস জিতলে তিনি ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তই নিতেন। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়ে সফরকারী বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তোলে ৩২৪ রান। টাইগার ওপেনার তামিমের সেঞ্চুরির সঙ্গে ছিল সাকিব-সাব্বিরের দুর্দান্ত হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংস।
এটিই ছিল টাইগারদের তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এর আগে ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩২৯ রান করে জিতেছিল বাংলাদেশ। একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তারও আগে ২০১৪ সালে করেছিল ৩২৬ রান। সেবার হারতে হয়েছিল টাইগারদের। এছাড়া, ৩০০ পেরুনো আর বাকি সাতটি ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছিল লাল-সবুজরা।
টেস্টে সিরিজ ড্র (১-১) হওয়ার পর এই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দিকে তুমুল আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে দুই দল। ডাম্বুলায় আজ থেকে শুরু হওয়া ওয়ানডে সিরিজে বাড়তি শক্তি বদলে যাওয়া টাইগারদের পারফর্ম। শেষবার এই মাঠে ২০১০ সালের এশিয়া কাপে খেলেছিল লাল-সবুজরা। সে আসরের সবক’টি ম্যাচই বাজে ভাবে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।
তবে, ২০১০ সালের তুলনায় এই বাংলাদেশ সম্পূর্ণ ভিন্ন। ক্রিকেট বিশ্বকে এখন আর চমকিয়ে দিতে হয় না টাইগারদের। যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই জায়ান্ট দলগুলোর বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নেয়। মাশরাফির নেতৃত্বে এই বাংলাদেশ এখন অনেক পরিণত আর অভিজ্ঞ।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, ২৫ মার্চ ২০১৭
এমআরপি