আর ডাম্বুলায় কাজটি করতে না পারলে অপেক্ষা করতে হবে কলম্বোয় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচের জন্য।
অবশ্য ডাম্বুলায় হাতছানি থাকছে আরও একটি ইতিহাস রচনারও।
এর আগে ২০০৯ সালে ক্যারিবীয় দ্বীপ সফরে আরেক শক্তিশালী দল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সাকিবরা ৩-০তে সিরিজ হারিয়েছিল। তবে স্বাগতিক দলে প্রথম সারির খেলোয়াড়রা অংশ না নেয়ায় জয়টি তেমন আলোচনাতেই ছিল না।
পাশাপাশি ঐতিহাসিক এই জয়ের মধ্য দিয়ে আইসিসি ওয়ানডে ৠাংকিংয়ে ছ’য়ে উঠার পথটিও আরও সুগম করতে পারবে কোচ হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।
এমনই গুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার মোকাবেলা করবে সফরকারী বাংলাদেশ। রনগিরি ডাম্বুলা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে হাইভোল্টেজ এই ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা’য়।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি শুরুর আগে স্বাগতিকদের চাইতে সব বিবেচনায় এগিয়ে থাকছে সফরকারীরাই। শক্তিমত্তা, মাঠের রণকৌশল এমকি অভিজ্ঞতায়ও। আছে সদ্য ওয়ানডেও তরতাজা স্মৃতিও। তাছাড়া সাকিব, তামিমের ক্ষুরধার ব্যাটে প্রথম ম্যাচে দাপুটে ৯০ রানের জয়ে ১-০ তে এগিয়ে থেকে আত্মবিশ্বাসতো আছেই।
এই ম্যাচ দিয়েই সিরিজ জয়ে মাশরাফি সতীর্থ মেহেদি হাসান মিরাজও আওয়াজ দিয়ে রেখেছেন। রোববার (২৬ মার্চ) টিম হোটেলে তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আশা করি ডাম্বুলাতেই সিরিজ জিততে পারবো। যদি কোন ভুল না হয়, তাহলে আমরাই জিতবো। ’
কাজটি অবশ্য কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। সিরিজের প্রথম ম্যাচে টাইগার ব্যাটসম্যান ও বোলাররা যেভাবে জ্বলে উঠেছেন, এই ম্যাচেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে রঙিন পোষাকে তাদের আরও একটি গৌরবের অধ্যায় স্বচক্ষে দেখতে যাচ্ছে ৫৬ বর্গমাইলের ক্রিকেট ভক্তরা।
কিন্তু মাশরাফিরা কাজটি কতটা সহজে করতে পারে সেটিই দেখার বিষয়। কেননা নিজেদের দ্বিতীয় টেস্ট ও প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ হারার পর জয়ের জন্য লঙ্কানরাও নিশ্চয়ই মুখিয়ে আছে।
সফরকারীদের কাছে ব্যাক টু ব্যাক হারে তাদের শরীর ও মনে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে সেই ক্ষতে প্রলেপ দিতে, সিরিজে সমতা আনতে এবং তাদের বর্তমান ৠাংকিং ধরে রাখতে তারাও হয়তো নিজেদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
এখন অপেক্ষা সেই দৃশ্য দেখার, সিংহের রাজ্যে সিংহের হুঙ্কারকে স্তব্ধ করে দিয়ে ডাম্বুলাতেই সিরিজ জয়ের গৌরবাজ্জ্বল জয়ে বাঘেরা গর্জে উঠতে পারেন কি না।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৮ ঘণ্টা, ২৮ মার্চ, ২০১৭
এইচএল/এমএমএস