মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকালে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম-২য়ে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৩ রানেই চার উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় এক রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর মোহাম্মদ মিথুন শূন্য ও নাজমুল হোসাইন শান্ত ৪ রানে আউট হলে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তিন ওভারের এক বিধ্বংসী স্পেলে বাংলাদেশকে টপ অর্ডার শূন্য করে দেন দেশের হয়ে প্রথম কোনো ওয়ানডে ম্যাচে সুযোগ পাওয়া অবিনাশ করন। অন্য উইকেটটি পান মাহবুব আলম।
প্রথম ওভারের শেষ বলে অফ সাইডে শট খেলতে গিয়ে আসিফ শেখের হাতে ধরা পড়েন আজমির আহমেদ। প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও ফ্লপ থাকলেন ঘরোয়া ক্রিকেটের এই বড় পারফরমার। তৃতীয় ওভারে শরদ ভেসকরকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন প্রথম ম্যাচের অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরিয়ান সাইফ হাসান। নিজের তৃতীয় ও দলীয় পঞ্চম ওভারে অবিনাশের শিকার এবার মোহাম্মদ মিথুন। দশম ওভারের শেষ বলে মাহবুব আলমের শিকার হন নাজমুল হোসাইন শান্ত।
এরপর দলীয় অধিনায়ক মুমিনুল ও সহ অধিনায়ক নাসির হোসাইনের ব্যাটে এগোয় বাংলাদেশ। দলের পক্ষে ১১৫ বলে ১০৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন নাসির হোসাইন। ১৫টি চার আর একটা ছয়ে ইনিংস সাজান নাসির। এর আগে ৬১ রানে আউট হয়ে যান মুমিনুল হক। শেষের দিকে আবুল হাসান রাজু, সাইফুদ্দিন ও আফিফ হোসেনের ছোট্ট তিনটি ইনিংসে নির্দিষ্ট ৫০ ওভারে ২৫৭ রান করে বাংলাদেশ।
২৫৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই দলীয় অধিনায়ক গায়েন্দ্র মাল্লাকে হারায় নেপাল। ১০ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। এরপর দলীয় ১২ রানে সুনিল দামালা এবং ১৬ রানে আসিফ শেখকে হারিয়ে চাপে পড়ে হিমালয়ের দেশটি।
এরপরই সেই পার্টনারশিপ। দিপেন্দ্র সিং ও দিলীপ নাথের ৯৮ রানের পার্টনাশিপ বেশ ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। তবে ১১৪ রানে দিলীপকে জাবেদ আউট করে দিলে অন্যরা আসা যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন।
১৭৪ রানে থেমে যায় নেপালের ইনিংস। এর মধ্য দিয়েই ৮৩ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৭
টিএইচ/আইএসএ/টিসি