মঙ্গলবার ধর্মশালায় সিরিজ জিতে সাংবাদিক বৈঠকে বিরাট কোহালি জানিয়ে দিলেন, তার সঙ্গে আর কখনও অস্ট্রেলিয়ানদের বন্ধুত্ব হবে না। মাঠের মধ্যে কোনও দিনই ছিল না।
কে বলবে, এই কোহালিই সিরিজ শুরুর আগে মুক্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন, ‘আমি ওদের অনেককে ভাল চিনি। মাঠের বাইরেও বন্ধুত্ব আছে ওদের সঙ্গে। কিন্তু আমি জানি, ক্রিকেট মাঠের দ্বৈরথে কোথায় সেই বন্ধুত্বের বাউন্ডারিটা শেষ করতে হবে। ’ এক মাসেরও কম সময়ের একটা টেস্ট সিরিজ তার অস্ট্রেলীয় দর্শনই পাল্টে দিয়ে গেল!
শুধু কোহালি নন, তিক্ততার রেশ ছড়িয়ে পড়েছে অন্যদের মধ্যেও। অথচ লোকেশ রাহুল যখন উইনিং স্ট্রোক মেরে আট উইকেটে জিতিয়ে দিলেন, তখন বোঝাই যায়নি, বিস্ফোরণ ঘটতে চলেছে। রাহুল গর্জে উঠলেন জয়ের আনন্দে। ড্রেসিংরুমের বারান্দায় স্লিভলেস টি-শার্টে বাইসেপস বার করা কোহালি তার বিখ্যাত সিংহগর্জন দিলেন। খুবই তীব্র জয়োল্লাস, সন্দেহ নেই। কিন্তু সিরিজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও তিক্ততা জিইয়ে রাখার রসদ তার মধ্যে ছিল না।
সফরকারী অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ যখন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এলেন, তখনও তো বোঝা যায়নি। উল্টো শান্তির বার্তা দিলেন স্মিথ। বলেন, ‘দুর্ধর্ষ সিরিজ খেললাম। ভারতীয় দলকে অভিনন্দন। টানটান উত্তেজনায় যেন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। অনিচ্ছাকৃত ভাবে হয়তো মাঝে মাঝে সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছি। ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ’ শুনেই উল্লাস গ্যালারিতে। মনে হয়েছিল, স্মিথের অস্ত্র সংবরণেই হয়তো ডেকে দেওয়া হল যুদ্ধবিরতি।
কে জানত, এর পরেই পুরস্কার বিতরণীতে আসবেন ম্যাচ এবং সিরিজের সেরা রবীন্দ্র জাডেজা এবং রবি শাস্ত্রীর মাইকের সামনে সরাসরি বলে দেবেন, ‘ম্যাথিউ ওয়েড সারাক্ষণ পিছন থেকে গালাগাল করে যাচ্ছিল। ওকে দেখানোর দরকার ছিল যে, আমরাই বিশ্বের এক নম্বর দল। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, ২৯ মার্চ, ২০১৭
এমএমএস