কত দিনের মধ্যে তারা খেলায় ফিরবেন তাও জানেন না। অবসর শুয়ে, বসে একরাশ অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছেন রুমানা-সালমা-জাহানারারা।
এ দেশের নারী ক্রিকেট যেন অভিভাবকশূণ্য। দিনের পর দিন ম্যাচহীনতায় তাদের সময় কাটলেও তা দেখার কেউ নেই। উল্টো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভাল কিছু করতে না পারলে সমালোচকরা কথা শোনাতে পিছপা হন না। তাই অনেকটা ক্ষোভ নিয়েই তিনি বললেন, ‘আমরা নারী ক্রিকেটার তাই আমাদের নিয়ে ভাবার সময় কারও নেই। ঘরে বসে থাকলেও কেউ জিজ্ঞেস করার নেই। আমরা পারি না সেটাই সবার চোখে পড়ে কিন্তু কেন পারি না, এইটা কেউ ভাবে না। ’ সত্যিইতো তাই।
গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে থাইল্যান্ডে এশিয়া কাপে যাওয়ার আগে বড় কোন দলের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলতে পারেনি নারী দল। সঙ্গত কারণেই নেপাল ও থাইল্যান্ড ছাড়া এশিয়ার বড় কোন দলের বিপক্ষে জয়ের দেখা মেলেনি। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগে জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাটিতে পাঁচটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেললেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কেননা মাত্র ১ মাস আগে খেলা হলে সেখান থেকে ভুল শোধরানোর সুযোগ কমই থাকে।
দুই বা তিন মাস আগে হলেও কথা ছিল। ফলে ফলাফলও হয়েছে বাজে। এদিকে ২০১৮ সালে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। বিশ্ব ক্রিকেটের এমন বড় আসরকে সামনে রেখে এখনও কোন প্রস্তুতি ম্যাচের আয়োজন করতে পারেনি বিসিবি। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপ। তার প্রস্তুতি হিসবে আমরা কোন ম্যাচই পাচ্ছি না। যাওয়ার তিন মাস আগে প্রস্তুতি নিলেই দল ভালো খেলে? সবার একই কথা দল ভাল খেলছে না। ’ ‘সারা বছর বসিয়ে রেখে তিন মাস অনুশীলন করিয়ে খেলতে বললে কি আর জয় সম্ভব? গত বছর টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গেলাম, কার সাথে খেলে গেছি? না ঘরোয়া লিগ সময়মত হচ্ছে না আন্তর্জাতিক কোন ম্যাচ। শুনি আমাদের সাথে কেউ খেলতে চায় না। তাহলে ঘরোয়া লিগ ঠিকমত হোক। সেটাও হচ্ছে না। ’ যোগ করেন এই নারী দলের সিনিয়র সদস্য।
বিষয়টির সুরাহা নিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট উইংয়ের চেয়ারম্যান এমএ আউয়াল চৌধুরী ভুলুর সাথে। তবে এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, ২৯ মার্চ, ২০১৭ এইচএল/এমএমএস