সেই ম্যাচে মোস্তাফিজকে দেখে মনে হচ্ছিল যেন স্বাভাবিক ছন্দে ডেলিভারিগুলো দিতে পারছেন না। ফলে ফিজের ডেলিভারি থেকে ৭টি বাউন্ডারি ও ১টি ওভার বাউন্ডারি তুলে নিতে সক্ষম হয় স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা।
আর এসবই নাকি উইকেট না বোঝার জন্যই হয়েছে। ডাম্বুলায় দ্বিতীয় ম্যাচে যে উইকেট প্রস্তুত করা হয়েছিল তার আচরণ বুঝতে না পারায় টাইগার এই বাঁহাতি পেসারের বোলিং এমন এলোমেলা ছিল বলে জানালেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক ন্যাশনাল গেমস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার ও এইচপি ম্যানেজার নাজনুল আবেদীন ফাহিম।
তিনি জানান, ‘উইকেটের স্কেডিং আচরণের কারণে বোলিংয়ের গ্রিপ করার জন্য যে সারফেস দরকার সেটা ওখানে ছিল না। মোস্তাফিজ তার বল থেকে যে কাটার ও বাউন্সার পায় সেটা পাচ্ছিল না। বল গ্রিপ করতে না পারায় তাকে কিছুটা ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল। ফলে পরবর্তীতে সে ডিফেন্সিভ বোলিংয়ের কৌশল অবলম্বন করেছে। ’
দলের অন্যতম প্লেয়ারের এমন বোলিংয়ে অধিনায়ক মাশরাফিকে ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল বলেও মত তার। তিনি যোগ করেন, ‘মাশরাফি একটু ঝামেলায় পড়েছিল যখন মোস্তাফিজ তার স্বাভাবিক বোলিং করতে পারছিল না। সেটার প্রভাব অন্যদের বোলিংয়ের উপরেও পড়েছে। মোস্তাফিজ ছাড়া বাকি সবাই ভালো করেছে। ’
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) মিরপুরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া লাউঞ্জে তিনি একথা বলেন।
শুধু উইকেট না বুঝে উঠাই নয়। এ ধরণের উইকেটে মোস্তাফিজের বোলিং অনভ্যস্ততাকেও দায়ী করলেন ফাহিম। তবে তিনি আশা করছেন তৃতীয় ম্যাচে যদি একই উইকেট হয়, তাহলে মোস্তাফিজ তার স্বাভাবিক ছন্দেই বলের গোলা ছুঁড়তে পারবেন।
ফামি জানান, ‘এই ধরণের উইকেটে সে বল করে অভ্যস্ত না হওয়ায় কিছু বাউন্ডারি ও বেশ কিছু রান ওর ডেলিভারি থেকে এসেছে। আশা করছি তৃতীয় ম্যাচে সে এই ধরণের উইকেট বুঝতে পারবে এবং আরও ভালো বোলিং দেখাতে পারবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ৩০ মার্চ ২০১৭
এইচএল/এমআরপি