২০১৩’তে শেষ দুই দেশের মধ্যে সিরিজ হয়েছে। এরপর ২০১৫’তে একবার সিরিজ হওয়ার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল।
এতোদিন সিরিজ না হওয়ার পেছনে দুই দেশের বৈরী সম্পর্ককে দায়ী করেন সবাই। রাজনৈতিক সম্পর্কে ফাটল, সীমান্তে উত্তেজনা যার বড় কারণ বলে দেখানো হচ্ছে। কিন্তু, পাকিস্তানের সীমিত ওভারের দলপতি সরফরাজ আহমেদ জানালেন, ‘এসব ফালতু যুক্তি। আসল ব্যাপার হলো, আমাদের বিপক্ষে হেরে যাবে এই ভয়েই খেলছে না ভারত। ভারত সম্ভবত পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে ভয় পায়। ’
যদি শেষ পর্যন্ত ভারত সরকারের অনুমতি পাওয়া যায়। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে মুখোমুখি হতে হবে এই দুই দেশকে। এই খবর আসতেই নড়েচড়ে বসেছে অনেক প্রাক্তনই। জাভেদ মিয়াঁদাদের কানে এই খবর যেতেই তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে সাবধান করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওরা আসলে সমস্যাটা ধামাচাপা দিতে চাইছে। ভারত কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার মানসিকতাতেই নেই। তারা আমাদের সঙ্গে অন্য কিছু নিয়ে খেলছে। ’ মিসবাহ উল হক জানিয়েছেন, ‘আমি জানি না কী হচ্ছে। কিন্তু যদি ভারত দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এই বছর করতে চায় তা হলে সেটা দুই দেশেরই ক্রিকেট সমর্থকদের জন্য ভালো। ’
এদিকে, সরফরাজের মন্তব্যকে কিছু্টা বাড়াবাড়ি বলে চালিয়ে দিতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। কারণ, ভারতের বিপক্ষে ২০১৪ সালে সর্বশেষ ম্যাচ জিতেছিল পাকিস্তান। এরপর আরও চারটি ম্যাচ খেললেও হেরেছিল পাকিস্তান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ৩০ মার্চ, ২০১৭
এমআরপি