গত বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ ফাইনালের স্বপ্ন ধূলোয় মিশিয়ে দেন ইলিয়ট। জন্মভূমি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৭৩ বলে ৮৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলার সময় ইলিয়ট জানান, ‘ব্লাকক্যাপদের হয়ে খেলাকে ভালোবেসেছি। জাতীয় দলে দারুণ কিছু বন্ধু পেয়েছিলাম। দলের পরিবেশকে আমি কখনোই ভুলতে পারবো না। ’
২০০৮ সালের মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেয়া ইলিয়টের। সাদা পোশাকে অভিষেকের পর খেলেছেন মাত্র ৫টি ম্যাচ। পরের বছর থেকে আর টেস্টে মাঠে নামা হয়নি তার।
২০০৮ সালের জুনে বার্মিংহামে কিউইদের হয়ে রঙ্গীন জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন। ২০১৩ সালের পর বাদ পড়েছিলেন ওয়ানডে দল থেকে। তবে ২০১৫ বিশ্বকাপে আকস্মিকভাবে ডাক পান তিনি। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন। নিজের ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডেতে করেছিলেন ৫০ রান। জাতীয় দলে ৮৩ ওয়ানডে খেলে ১৯৭৬ রান করেছেন। দুটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি তার নামের পাশে রয়েছে ১১টি হাফ-সেঞ্চুরি।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ১৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলেছেন ইলিয়ট। ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ নিজের সবশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন এই তারকা। ঠিক এক বছর পরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব ফরমেটকে বিদায় জানালেন ইলিয়ট।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, ৩১ মার্চ ২০১৭
এমআরপি