কেননা, কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে গড়াচ্ছে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে। সেই ম্যাচটি নিজেদের করে নিতে পারলে প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের ঐতিহাসিক এক মহাকাব্য রচনা করতে পারবে মাশরাফি ও তার দল।
সন্দেহ নেই শততম টেস্টে জয় ও প্রথম ওয়ানডে জয়ে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটিতে ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তাছাড়া স্বাগতিকদের চেয়ে সফরকারীরা এগিয়ে থাকছে শক্তিমত্তা ও অভিজ্ঞতায়, পাশাপাশি সাথে থাকছে টইটুম্বুর আত্মবিশ্বাসও।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) কলম্বোয় গণমাধ্যমকে টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা জানিয়েছেন নিজেদের সেরা খেলাটি খেলতে পারলে এই ম্যাচে জয় পাওয়া অসম্ভব নয়, ‘আমরা সবাই আত্মবিশ্বাসী। যদি নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারি তাহলে অবশ্যই সম্ভব। ’
অধিনায়ক মাশরাফির মতো সিরিজ জয়ে আত্মবিশ্বাসী কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, ‘আমরা শেষ ম্যাচেও ভালো করবো। নিজেদের মাটিতে শ্রীলঙ্কা সবসময়ই শক্তিশালী। তবে এই সিরিজে একটি ম্যাচও ওরা জিততে পারেনি। আমরা ভালো অবস্থানে আছি। আর যাই হোক সিরিজ হারছি না। ওদের ভালো খেলতে হবে; আমাদেরও সেরাটা খেলতে হবে। ’
টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা অনুযায়ী মাশরাফিরা নিজেদের সেরা খেলাটি খেলে তৃতীয় ম্যাচটি জিততে পারলে নিশ্চয়ই রঙিন পোশাকে আরও একটি ইতিহাস রচনা হবে কলম্বোর ওই সিংহলী স্পোর্টস ক্লাব মাঠে।
তবে এই সিরিজ দিয়ে টাইগারদের আর র্যাংকিংয়ের ৬-এ উঠা হচ্ছে না। কেননা দ্বিতীয়টি বৃষ্টিতে পন্ড হওয়ায় বাংলাদেশ ২-০ তে সিরিজ জিতলে পয়েন্ট হবে ৯৫। আর ১-১ এ সমতা হলে পয়েন্ট হবে ৯২। ফলে ৭ নম্বরেই থাকতে হবে।
তবে র্যাংকিংয়ে নিজেদের অবস্থান হারানোর ভীতি লঙ্কানরা কাটিয়ে উঠেছে। দ্বিতীয় ম্যাচটি পরিত্যাক্ত হওয়ায় বেশ নিশ্চিন্তেই ছয়ে থেকে সিরিজ শেষ করতে পারবে। সেটা ২-০ তে সিরিজ হেরে গেলেও।
সন্দেহ নেই, সফরকারীদের কাছে টানা দুই হারে জয়ের জন্য মুখিয়ে থাকা লঙ্কানরা নিজেদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটি দিয়েই এই ম্যাচে খেলবে। তবে সেটা অবশ্যই চাপে থেকে। ঘরের মাটিতে মান বাঁচানোর প্রশ্নে নিশ্চয়ই আপোস করবে না শ্রীলঙ্কা। আর এই বিষয়টিই শেষ ম্যাচে লঙ্কানদের সব চাইতে বড় চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
এখন দেখার বিষয় হলো, লঙ্কানদের এই চাপকে পুঁজি করে মাশরাফিরা কতটা নিপুণ হাতে কলম্বো জয় করতে পারেন!
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, ৩১ মার্চ, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম