শহীদ বলেন, ‘তিন মাস বিছানায় শুয়ে ছিলাম। ভাল লাগছিল না।
শনিবার (১ এপ্রিল) মিরপুর একাডেমিতে দিনের পুনর্বাসন শেষে এভাবেই তার অভিপ্রায়ের কথা জানান শহীদ।
বিপিএলে ফিল্ডিং করতে গিয়ে হাঁটুতে ব্যাথা পেয়ে আসরের শেষ কয়েকটি ম্যাচসহ নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ শহীদ। এরপর ফেব্রুয়ারিতে অজি শল্য চিকিৎসক ডেভিড ইয়াংয়ের অধীনে অস্ত্রোপচারের পর দুই সপ্তাহ হল ক্র্যাচ ছেড়ে স্বাভাবিক হাঁটাচলা শুরু করেছেন।
সপ্তাহ খানেক আগে, শুরু হয়েছে পুনর্বাসন। তার পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠার সবরকম প্রক্রিয়াই চলছে জোর গতিতে। তবে হাঁটাচলা করতে পারলেও এখনই রানিং করতে পারছেন না শহীদ। সেটা করতে আরও একমাস সময় লাগবে। আর মাঠে ফিরতে ফিরতে সেই অক্টোবর মাস।
ইনজুরির পর গত তিনটি মাস নিজ কক্ষের বাইরে কোথাও যেতে পারতেন না শহীদ। বড় জোর ওয়াশরুম। বারান্দায় পর্যন্ত যাওয়ার সামর্থটুকু তার ছিল না। সময়গুলো ছিল নিদারুণ বিষাদে ভরা। কিন্তু সেই দু:সময় কাটিয়ে তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পেরে দারুণ উচ্ছ্বসিত।
‘ক্র্যাচ ছাড়ার আগে সময়গুলো খুবই বাজে কাটছিল। রুমের মধ্যে বিছানায় পা বালিশের উপর দিয়ে সোজা করে বসে থাকতাম, আইস করতে হত। এখন বাইরে যেতে পারি, শপিং করতে পারি। খুব ভাল লাগে। ’-যোগ করেন তিনি।
ইনজুরিতে পড়ে নিউজিল্যান্ডে সিরিজতো বটেই ফেব্রুয়ারিতে ভারত সিরিজ, শ্রীলঙ্কার সাথে চলতি সিরিজ, এ মাসে শুরু হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, মে মাসে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ, জুনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জুলাইয়ে ঘরের মাটিতে পাকিস্তান সিরিজ ও সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ খেলা হচ্ছে না এই পেসারের। তবে বাস্তবতা মানছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘এটা হচ্ছে ক্রিকেটের একটি অংশ। খেলতে গেলে এমন হবেই। কিছু করার নেই। মনে করলে কষ্ট হয়, কিন্তু কিছু মনে করি না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ১ এপ্রিল ২০১৭
এইচএল/এমএমএস